নয়া দিল্লি: দূষণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন(Lockdown)-র মতো কঠোরতম সিদ্ধান্ত নিতেও প্রস্তুত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনটাই জানাল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। কেবলমাত্র দিল্লিতে লকডাউন করলে সীমিত প্রভাব পড়বে, তাই আশেপাশের এনসিআর (NCR) অঞ্চলেও কড়া লকডাউনের প্রয়োজন, এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি সরকারের হলফনামায়।
শনিবারই দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত দূষণ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন করতে প্রস্তুত। তবে এই পদক্ষেপ তখনই সুফল দেবে, যখন তা দিল্লির পাশাপাশি এনসিআর অঞ্চলেও কার্যকর করা হবে। কেবলমাত্র দিল্লি শহরের আকার দেখে বলা যায়, সেখানে লকডাউন করলে, দূষণে তার প্রভাব সীমিতই থাকবে।” যদি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বা বাতাসের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে অনুমতি দেওয়া হয়, তবে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে লকডাউন করতে রাজি রাজ্য সরকার, এমনটাই জানানো হয় শীর্ষ আদালতে।
গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ দিন দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়, দূষণের কথা মাথায় রেখে আগামী সাতদিন স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি অফিসগুলিতেও ১০০ শতাংশ বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি অফিসগুলিকেও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ দেওয়া এবং গাড়ি ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকারের এই সমস্ত পদক্ষেপের প্রশংসাও করে শীর্ষ আদালত।
এ দিকে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দিল্লির দূষণের মাত্র ১০ শতাংশ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানো বা ন্যাড়াপোড়ার (Stubble Burning) জন্য হয়, রাজ্যের দূষণের ৭৪ শতাংশই হয় শিল্পাঞ্চল, ধুলো কণা ও যানবাহন থেকে। উল্লেখ্য, গত শুনানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই সরকারের তরফেই বায়ুদূষণের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ন্যাড়াপোড়াকেই দায়ী করা হয়েছিল। সেই সময় শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, “দূষণের কিছুটা শতাংশ ন্যাড়াপোড়ার কারণে হলেও, তার উপরই সম্পূর্ণ দোষ চাপিয়ে দেওয়া যায় না। দীপাবলির সময়ে বাজি পোড়ানো, যানবাহন ও শিল্পাঞ্চলের দূষণও দায়ী। কৃষকদের দোষারোপ করা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।”
এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে ধমক দিয়ে বলা হয়, “দিল্লিতে দূষণ ও তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্য সরকার ‘বোকা বোকা অজুহাত’ দিচ্ছে। এরকম চললে সুপ্রিম কোর্টকেই রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় ও সেই টাকা দিয়ে কী করা হয়, তার পর্যালোচনা করতে হবে।”
প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বলেন, “আমরা চাই দূষণের মাত্রা কমুক। আপনাদের প্রতিটা পদক্ষেপে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমরা এখানে বসে নেই। কীভাবে শিল্পাঞ্চলে দূষণ ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করবেন, সেটা আপনাদের সমস্যা।” দিল্লি সরকারের জমা দেওয়া হলফনামা নিয়ে প্রধান বিচারপতি সরাসরি প্রশ্ন করেন, “হলফনামার কথা ভুলে যান, আমায় বলুন কী কী বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে”, জবাবে দিল্লি সরকারের তরফে হাজির আইনজীবী রাহুল মেহরা বলেন, “পুরসভাকেইও কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।” এতেই রেগে যান প্রধান বিচারপতি, তিনি বলেন, “আপনারা কী পুরসভার ওপরে দোষ চাপাতে চাইছেন?” বিচারপতি সূর্যকান্তও বলেন, “আপনারা যদি এ কথা বলেন, তবে আমরা সরকারের রাজস্বের অডিটের নির্দেশ দেব। আপনারা জনপ্রিয় স্লোগান তৈরি করতেই অতিরিক্ত খরচ করছেন।”
নয়া দিল্লি: দূষণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন(Lockdown)-র মতো কঠোরতম সিদ্ধান্ত নিতেও প্রস্তুত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনটাই জানাল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। কেবলমাত্র দিল্লিতে লকডাউন করলে সীমিত প্রভাব পড়বে, তাই আশেপাশের এনসিআর (NCR) অঞ্চলেও কড়া লকডাউনের প্রয়োজন, এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি সরকারের হলফনামায়।
শনিবারই দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত দূষণ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন করতে প্রস্তুত। তবে এই পদক্ষেপ তখনই সুফল দেবে, যখন তা দিল্লির পাশাপাশি এনসিআর অঞ্চলেও কার্যকর করা হবে। কেবলমাত্র দিল্লি শহরের আকার দেখে বলা যায়, সেখানে লকডাউন করলে, দূষণে তার প্রভাব সীমিতই থাকবে।” যদি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বা বাতাসের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে অনুমতি দেওয়া হয়, তবে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে লকডাউন করতে রাজি রাজ্য সরকার, এমনটাই জানানো হয় শীর্ষ আদালতে।
গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ দিন দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়, দূষণের কথা মাথায় রেখে আগামী সাতদিন স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি অফিসগুলিতেও ১০০ শতাংশ বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি অফিসগুলিকেও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ দেওয়া এবং গাড়ি ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকারের এই সমস্ত পদক্ষেপের প্রশংসাও করে শীর্ষ আদালত।
এ দিকে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দিল্লির দূষণের মাত্র ১০ শতাংশ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানো বা ন্যাড়াপোড়ার (Stubble Burning) জন্য হয়, রাজ্যের দূষণের ৭৪ শতাংশই হয় শিল্পাঞ্চল, ধুলো কণা ও যানবাহন থেকে। উল্লেখ্য, গত শুনানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই সরকারের তরফেই বায়ুদূষণের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ন্যাড়াপোড়াকেই দায়ী করা হয়েছিল। সেই সময় শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, “দূষণের কিছুটা শতাংশ ন্যাড়াপোড়ার কারণে হলেও, তার উপরই সম্পূর্ণ দোষ চাপিয়ে দেওয়া যায় না। দীপাবলির সময়ে বাজি পোড়ানো, যানবাহন ও শিল্পাঞ্চলের দূষণও দায়ী। কৃষকদের দোষারোপ করা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।”
এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে ধমক দিয়ে বলা হয়, “দিল্লিতে দূষণ ও তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্য সরকার ‘বোকা বোকা অজুহাত’ দিচ্ছে। এরকম চললে সুপ্রিম কোর্টকেই রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় ও সেই টাকা দিয়ে কী করা হয়, তার পর্যালোচনা করতে হবে।”
প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বলেন, “আমরা চাই দূষণের মাত্রা কমুক। আপনাদের প্রতিটা পদক্ষেপে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমরা এখানে বসে নেই। কীভাবে শিল্পাঞ্চলে দূষণ ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করবেন, সেটা আপনাদের সমস্যা।” দিল্লি সরকারের জমা দেওয়া হলফনামা নিয়ে প্রধান বিচারপতি সরাসরি প্রশ্ন করেন, “হলফনামার কথা ভুলে যান, আমায় বলুন কী কী বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে”, জবাবে দিল্লি সরকারের তরফে হাজির আইনজীবী রাহুল মেহরা বলেন, “পুরসভাকেইও কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।” এতেই রেগে যান প্রধান বিচারপতি, তিনি বলেন, “আপনারা কী পুরসভার ওপরে দোষ চাপাতে চাইছেন?” বিচারপতি সূর্যকান্তও বলেন, “আপনারা যদি এ কথা বলেন, তবে আমরা সরকারের রাজস্বের অডিটের নির্দেশ দেব। আপনারা জনপ্রিয় স্লোগান তৈরি করতেই অতিরিক্ত খরচ করছেন।”