কুম্ভ থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কুম্ভ মেলায় এ পর্যন্ত ১,৭০০-রও বেশি পুণ্যার্থী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। অরক্ষিত মুখ, সামাজিক বিধি নেই বললেই চলে সেখানে।

কুম্ভ থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন, না হলে আইনি পদক্ষেপ
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Apr 18, 2021 | 10:30 AM

নয়া দিল্লি: আতঙ্কের নাম কুম্ভ। করোনার (COVID) দ্বিতীয় সংক্রমণের আবহে কুম্ভ মেলা বারবার শিরোনামে উঠে এসেছিল। কারণ সেখানকার ঠাসাঠাসি ভিড়, মাস্কহীন পুণ্যস্নান ভয় বিস্তার করেছিল সকলের মনে। এরপর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহত্তম আখড়ার প্রধান স্বামী অভদেশ্যানন্দ গিরির সঙ্গে কথা বলে কুম্ভ মেলা প্রতীকী করার আহ্বান করে। সেই মতো জুনা আখড়ার তরফে জানানো হয় যে তাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কুম্ভমেলা শেষ করছে। তবে সংক্রমণের যে ভয় চিকিৎসকরা পাচ্ছেন, তা এই কয়েকটা দিনে যথেষ্ট দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে। তাই কুম্ভ ফেরত পুণ্যার্থীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দিল্লি প্রশাসনের।

কেজরীবালের মুখ্য সচিব বিজয় দেব একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছেন, দিল্লিবাসীরা যাঁরা কুম্ভে গিয়েছিলেন, তাঁদের দিল্লি ফিরে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাশাপাশি নির্দেশিকায় যেসব দিল্লিবাসী ৪ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কুম্ভে গিয়েছিলেন, তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিঙ্কে তথ্য আপলোড করতে বলা হয়েছে। আর যাঁরা ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দিল্লি যাচ্ছেন তাঁদের দিল্লি ছাড়ার আগেই সব তথ্য প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশ রয়েছে।

কুম্ভ মেলায় এ পর্যন্ত ১,৭০০-রও বেশি পুণ্যার্থী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। অরক্ষিত মুখ, সামাজিক বিধি নেই বললেই চলে সেখানে। বারবার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসছে হরিদ্বার থেকে। দেশে করোনা সংক্রমণ বুলেট গতিতে বাড়ছে। চিকিৎসক মহল বারবার সাবধান করলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। তাই কুর্নুল কিংবা কুম্ভ বারবার করোনাবিধিকে উপেক্ষা করে বড় জমায়েত করছে মানুষ। সরকারও নিরুপায়। এমতাবস্থায় অনুকূল পরিবেশ পেয়ে হাইজাম্প মারছে মারণ ভাইরাস। তবে শুধু কুম্ভ নয়, ভোটবঙ্গেও রাজনৈতিক মিটিং মিছিলে শিকেয় উঠছে সামাজির দূরত্ব। ক্রমাগত ভয়ঙ্কর হচ্ছে পরিস্থিতি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ জন। এটিই সর্বকালের সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯-এ। এরমধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ১ হাজার ৩১৬। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫০-এ।

আরও পড়ুন: গভীর সঙ্কটে দেশ, ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৬১ হাজার আক্রান্তে তৈরি সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড