নয়া দিল্লি: একইঘরে বিছানায় শোয়ানো বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ (Deadbody)। অথচ মৃত্যুর কারণ কেউই জানে না। শরীরে নেই কোনও আঘাতের চিহ্নও। দিল্লি(Delhi)-র ৩২ বছরের যুবক ও তাঁর ১০ বছরের মেয়ের মৃত্যু ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ(Police)-র তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তিই হয়তো নিজের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির মেট্রো বিহার ফেজ-২ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে এক ব্যক্তি ও তাঁর মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, তাঁর কাকা নিজের মেয়েকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। এই খবর পেয়েই উল্লেখিত ঠিকানায় পৌঁছয় পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেখতে পান যে সুরেশ (৩২) নামক ওই ব্যক্তির দেহ বিছানায় শোয়ানো রয়েছে। তাঁর পাশেই শোয়ানো ছিল ১০ বছরের মেয়ের দেহও। জিজ্ঞাসাবাদ করায়, মৃতদের আত্মীয়রা জানান, সুরেশের দেহ উপরে পড়েছিল। তারাই দেহটি নীচে নিয়ে আসেন। অন্যদিকে, ওই বাচ্চা মেয়েটির দেহ নীচের তলাতেই ছিল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাচ্চা মেয়েটির দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বা দমবন্ধ করে হত্যা করার মতো কোনও প্রমাণও মেলেনি। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর আগেই বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ বছর আগে বাচ্চা মেয়েটি দোতলা থেকে পড়ে যায়। এরপর থেকেই তাঁর স্নায়ুজনিত কিছু সমস্যা দেখা যায়। মাঝেমধ্যেই খিঁচুনির সমস্যাও দেখা দিত। তাঁর চিকিৎসার জন্যই সুরেশ চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল। বাড়িতে থেকেই তিনি মেয়ের সেবা-শুশ্রষা করতেন। তাঁর স্ত্রী রমা দেবী স্থানীয় একটি সবজির বাজারে সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করেন।
কী কারণে ওই ব্যক্তি নিজের মেয়েকে খুন করেন এবং পরে আত্মহত্যা করেন, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অবসাদের কারণেই ওই ব্যক্তি নিজের মেয়েকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য তাদের দেহ মর্গে রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Jharkhand Student Death: অধ্যক্ষ বলেছিলেন ক্লাসে পড়ে গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজই ধরিয়ে দিল আসল ‘সত্য’