Threat Call: PCR-এ ফোন, ও’প্রান্ত থেকে বলল ‘প্রাণ সংশয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর’! তারপর যা হল…

Delhi Police: দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার প্রণব তয়াল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ পিসিআর কল আসে। এক ব্যক্তি ফোন করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেন।  সঙ্গে সঙ্গে লোকেশন ট্রাক করে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়।

Threat Call: PCR-এ ফোন, ও'প্রান্ত থেকে বলল 'প্রাণ সংশয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর'! তারপর যা হল...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2023 | 10:00 AM

নয়া দিল্লি: রাতে পুলিশের কাছে হঠাৎ এল একটা ফোন। আর তারপরই শুরু হুলুস্থূল। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে ফোন আসে, ফোনের ও প্রান্ত থেকে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-র প্রাণসংশয়। তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই ফোন পাওয়ার পরই শুরু হয় তদন্ত। কোথা থেকে ওই ফোন এল, তাও খুঁজে বের করতে তৎপর হল পুলিশ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে খুঁজেও পাওয়া গেল সেই ব্যক্তিকে। জানা গেল, মত্ত অবস্থায় পুলিশকে ফোন করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।

শুক্রবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (Police Control Room) একটি উড়ো ফোন আসে। ফোনের ও প্রান্ত থেকে এক ব্য়ক্তি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাণ সংশয় রয়েছে। তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাঁর উপরে হামলা চালানো হতে পারে। এই কথা শুনেই তৎপর হয় পুলিশ। কোথা থেকে ফোন এসেছিল, তাও খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়।

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার প্রণব তয়াল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ পিসিআর কল আসে। এক ব্যক্তি ফোন করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেন।  সঙ্গে সঙ্গে লোকেশন ট্রাক করে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। দিল্লির করোল বাগ থেকে হেমন্ত কুমার নামক ব্য়ক্তিকে ভুয়ো ফোন করার জন্য গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি করোল বাগের রায়গড় পুরার বাসিন্দা। জেরায় ওই ব্যক্তি জানান, বিগত ৬ বছর ধরে তিনি বেকার। নিয়মিত মদ্যপানেরও অভ্যাস রয়েছে তাঁর। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি যখন পুলিশকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাণ সংশয়ের কথা বলেন, সেই সময়ও মত্ত ছিলেন। মজাচ্ছলেই তিনি ওই ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।