নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। হাসপাতালের বেড জোগাড় বা অক্সিজেনের সংস্থান করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি ও কেন্দ্র সরকার। এই পরিস্থিতিতেই দুই পক্ষের তরফেই বারবার বলা হয়েছিল, সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি প্রয়োজন করোনা টিকাকরণও। সেই কথা মেনেই সোমবার থেকে দিল্লিতে শুরু হল তৃতীয় দফার টিকাকরণ। এই দফায় ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ টিকা পাবেন।
কেন্দ্রের তরফে ১ মে থেকেই টিকাকরণ শুরু করার কথা বলা হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা না থাকায় সেদিন থেকে টিকাকরণ শুরু করা যায়নি দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে। বাড়তি সংক্রমণ ও টিকাকরণে সুবিধার জন্য বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচিতে।
একদিকে, বন্ধ রাখা হয়েছে ওয়াক ইন রেজিস্ট্রেশন। অর্থাৎ ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন না, তাদের আগে থেকে কো-উইন অ্যাপ বা আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
একইসঙ্গে, টিকা কেন্দ্রে ভিড় এড়াতে ৭৭টি স্কুলকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে পাঁচটি টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরাকারিভাবে সোমবার থেকে তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হলেও শহরের বড় বড় হাসপাতালগুলিতে শনিবার থেকেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকারের তরফে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ়ের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যা আগামী তিন মাসের মধ্যেই এসে যাবে। এরমধ্যে ৬৭ লাখ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিন লাখ ডোজ় দিল্সি পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লিতে মোট দেড় কোটি মানুষকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এরমধ্যে ৩২ লাখ ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, ১৮ উর্ধ্ব দিল্লিবাসীদের বিনামূল্যেই করোনা টিকা দেওয়া হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই বয়সসীমার সকলের টিকাকরণ করানোর লক্ষ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনেই জোর শীর্ষকর্তাদের, কী পরিকল্পনা কেন্দ্রের?