করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনেই জোর শীর্ষকর্তাদের, কী পরিকল্পনা কেন্দ্রের?

ইতিমধ্যেই দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ওড়িশায় সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফেও লকডাউনের ,সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে চিন্তাভাবনা করতে বলা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনেই জোর শীর্ষকর্তাদের, কী পরিকল্পনা কেন্দ্রের?
Follow Us:
| Updated on: May 03, 2021 | 1:01 PM

জ্যোতির্ময় রায় : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা প্রায় ৫০ টি দেশে একদিনে পাওয়া মোট আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় বেশি। কেন্দ্রের তৈরি কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দ্রুত রূপান্তরের শৃঙ্খল ভঙ্গ করতে সম্পূর্ণ লকডাউন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই সদস্যদের মধ্যে এইমস এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (ICMR)-র সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সূত্র মতে, সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

সুত্র অনুযায়ী, কোভিড টাস্ক ফোর্সের উভয় সদস্যই বিগত এক সপ্তাহ ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছেন। আইসিএমআরের কর্মকর্তা লকডাউনের সপক্ষে যুক্তি দেন যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শীর্ষে ওঠেনি, এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের সম্পূর্ণ লকডাউন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

যদিও কেন্দ্র আইসিএমআর এবং এইমসের মতামত নিয়ে এখনও অবধি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে ৩ মে-র পরে কেন্দ্র এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মনে করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ লকডাউন না করা হলেও, সরকার আংশিক লকডাউন ঘোষণা করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শিখরে উঠতে পারে। এই সময়ে দৈনিক প্রায় পাঁচ-ছয় লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন। আসলে, এই চিত্রটি সম্পূর্ণভাবেই সাধারণ মানুষের সতর্কতা এবং আচরণবিধির উপর নির্ভর করবে। জনগণ যদি করোনাবিধিগুলি অনুসরণ করে চলে, তবে মে মাসের শেষের দিকে আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারি। তবে সাধারণ মানুষ যদি এভাবেই নিয়ম ভাঙতে থাকেন, তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য সম্প্রসারিত হতে পারে এবং এর ভয়ঙ্কর রূপ কল্পনা করতেও ভয় লাগে।

দেশে লকডাউন করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপর অনেকটাই চাপ রয়েছে। একদিকে যেমন অনেক বিশেষজ্ঞরা লকডাউন করার পক্ষে জোর দিচ্ছেন, অন্যদিকে আবার সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছে। দেশজুড়ে লকডাউন চাপানো উচিত কিনা সেই বিষয়ে সরকার শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে সম্পূর্ণ লকডাউন শেষ উপায়, তবে দেশের সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বিবেচনা করে এটি পুনর্বিবেচনা করা যেতেই পারে।

ইতিমধ্যেই, সতর্কতা হিসেবে বর্তমানে দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ওড়িশায় সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে। আংশিক লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবে। উত্তর প্রদেশে সপ্তাহ শেষে লকডাউন জারি করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশও মে মাস অবধি অবধি কার্ফু জারি রয়েছে।

আরও পড়ুন: এক ডোজ়েই কামাল নয়, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া আবশ্যক, কেন জানেন?