নয়া দিল্লি: একদিনের আনন্দের কারণে আরও কতদিন যে বিষ গ্রহণ করতে হবে দিল্লিবাসীকে, তার ঠিক নেই। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর ফলস্বরূপ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছিল দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা (Delhi Air Pollution)। দীপাবলির চারদিন পর কিছুটা হলেও কমল বাতাসে “বিষে”র মাত্রা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ও বায়ুর গুণমান পূর্বাভাস ও গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিল্লিতে বায়ুর গুণ মান রয়েছে ৩৮৪-এ।
রবিবার অবধিও দিল্লি(Delhi)-র বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (Air Quality Index) “বিপজ্জনক” মাত্রাতেই ছিল। ৪২৮-র মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল এই গুণমান। পার্শ্ববর্তী গুরগাঁও, নয়ডা, গাজিয়াবাদ শহরেও দূষণে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাসিন্দাদের। সবথেকে খারাপ বাতাস ছিল গুরগাঁওতে, সেখানে বাতাসের গুণমান ছিল ৪৬০। এরপরই গাজিয়াবাদে ৪৫৮, নয়ডায় ৪৫৫, ফরিদাবাদে বাতাসের গুণামানের মাত্রা ৪৪৯-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল।
১ জানুয়ারি অবধি দিল্লিতে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই বিধিনেষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দীপাবলির দিন দেদার বাজি পোড়ানো হয়েছে গোটা দিল্লি জুড়েই। পরদিন সকাল থেকেই ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণে আকাশ ঢাকা পড়েছে। কমেছে দৃশ্যমানতা। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচকের গড় পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬২ তে।
শনিবারও আকাশের অবস্থা একই ছিল। ভোর ৬টা নাগাদ বাতাসের গুণগত মানের হার ছিল ৫৩৩, যার ফলে “অতি ভয়ঙ্কর” পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাস। পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ ও গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণমান আরও খারাপ বলেই জানা গিয়েছে। আনন্দ বিহার ও ফরিদাবাদে বাতাসের গুণমান ৬০০-এ পৌঁছয়। রবিবারও প্রায় একই পরিস্থিতি ছিল দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির বাতাসের।
দিল্লিতে দূষণের মাত্রা হ্রাস করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে ট্যাঙ্কারে করে জল ছেটানো হচ্ছে। জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। সোমবার সিপিসিবির তরফে দিল্লিতে দূষণ নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লির বাতাসকে দূষণমুক্ত করতে নতুন কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বর্তমানে ডিজেল জেনারেটরে নিষেধাজ্ঞা ও পার্কিং ফি দুই থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: Aryan Khan Drug Case: বাড়িতে থাকলেও এনসিবির সমন এড়ালেন আরিয়ান, কারণ জানালেন নিজেই