ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও থাবা বসাচ্ছে অতি-সংক্রামক ‘ডেল্টা’ই, বলছে গবেষণা

Jun 04, 2021 | 7:48 PM

গবেষণায় উঠে এল এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য এই স্ট্রেনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও থাবা বসাচ্ছে অতি-সংক্রামক ডেল্টাই, বলছে গবেষণা
ফাইল ছবি- পিটিআই

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভারতেই প্রথম পাওয়া গিয়েছে করোনার ভাইরাসের স্ট্রেন B.1.617.2, আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তারই নামকরণ করেছে ‘ডেল্টা।’ সেই স্ট্রেনের জেরেই নাকি দ্বিতীয় তরঙ্গে ধাক্কা এত বেশি লেগেছে। এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি গবেষণার একটি রিপোর্ট। এই ভ্যারিয়ান্ট অতি-সংক্রামক অর্থাৎ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবেষণায় এই তথ্য তুলে এনেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল।

গবেষকরা জানিয়েছেন আলফা ভ্যারিয়ান্টের থেকে ‘ডেল্টা’ অনেক বেশি সংক্রামক। তবে এই ভ্যারিয়ান্টে মৃত্যু বেশি হয় বা রোগের প্রকোপ ভয়ঙ্কর হয়, এমন কোনও তথ্য দেননি গবেষকরা। শুধু ভারতে নয় ইউকে-র একটি গবেষণাও বলছে, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ডেল্টা ভাইরাস নিয়ে ইউকে-তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ইউকে-র হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির চিফ এক্সিকিউটিভ জেনি হ্যারিস।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলেও ভয় নেই মৃত্যুর: এইমস

ভারতে করোনার মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে নিয়েই উদ্বেগ সবথেকে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই তথ্য দিয়েছে। বাকি দুটি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের তেমন কোনও কারণ নেই। সম্প্রতিই দেশ ভিত্তিতে প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছে করোনা ভাইরাসের এমন ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে। বি.১.৬১৭.১ ভ্যারিয়েন্টকে ‘কাপ্পা’ এবং বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টকে ‘ডেল্টা’ নামকরণ করা হয়েছে। গত মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে ওই ভ্যারিয়েন্টও তিনবার মিউটেট হয়ে তিনটি স্ট্রেনে পরিণত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এরমধ্যে একটি স্ট্রেনকেই “উদ্বেগজনক” বলে চিহ্নিত করে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে সাপ্তাহিক আপডেটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘দেখা গিয়েছে যে বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট থেকেই সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।’

আরও পড়ুন: সংক্রমণের দুটি ঢেউয়ে হবু মায়েদের শরীরে করোনা বাসা বাঁধলেও সংক্রমণমুক্ত ত্রিপুরার ২২৫ নবজাতকই

Next Article