দিল্লি: আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত এক মামলায় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে তলব করেছিল ইডি। দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। নির্ধারিত সময় মেনেই বুধবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন এই তারকা সাংসদ। সকাল এগারোটার মধ্যেই ইডি অফিসে পৌঁছন দেব। মূলত, কোনও সাংসদ বা তারকাকে তলব করা হলে ভিতরে যাওয়ার জন্য তাঁদের পাস আগে থেকেই প্রস্তুত করা হয়। তবে এক্ষেত্রে দেব নিজের পাস আগে থেকে তৈরি করাননি। তিনি নিজের সেক্রেটারিকে জানান, একদম সাধারণ মানুষের মতোই তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে পাস তৈরি করবেন। তারপরই তিনি ভিতরে যাবেন।
এ দিন, ইডি অফিসে প্রবেশ করার পূর্বে দেব সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাঁর দাবি, কী কারণে তাঁকে তলব করা হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনও তথ্যই নোটিসে উল্লেখ ছিল না। তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, “দু’বছর আগেও যখন গিয়েছি তখনও আমি বলেছিলাম যতবার ডাকবে ততবার যাব। আমার দেশের তদন্তকারী সংস্থার উপর আমার যথেষ্ঠ ভরসা আছে। তদন্তে যদি কোনও সাহায্য লাগে অবশ্যই করব। আমি নিজের শুটিং বাতিল করে এখানে এসেছি।” এনামূল হক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেব জানান, তিনি এনামূলকে চেনেন না। “যে চুরি করে সে তো নিজে জানে চুরি করেছে। আমি কারোর এক টাকাও নিইনি। আমার ওই ভয় নেই। তাই যখনই ডাকবে তখনই যাব।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন দেব। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারিই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কারণ হিসাবে সে সময় উঠে এসেছিল দেব-এনামূল যোগের অভিযোগ। গরু পাচার মামলায় ২০২০ সালে এনামূল হককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই এনামূলের সঙ্গেই নাকি দেবের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগ, দেবকে দামি ঘড়িও নাকি উপহার দিয়েছিলেন এনামূল। যদিও সে সময় দেব স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এনামূলকে তিনি চিনতেনই না। আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রশ্নই নেই। আজও সাংসদ সেই একই দাবি করলেন।