Cough Syrup row: গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় সংস্থার ‘কাফ সিরাপ’ দায়ী নয়, জানাল DGCI
"ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা, মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালে প্রস্তুত ওই কাফ সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ইথিলিন গ্লাইকোল বা ডাইথাইলিং গ্লাইকোল পাওয়া যায়নি।"
নয়া দিল্লি: গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে ভারতে প্রস্তুত কাফ সিরাপের কোনও সংযোগ নেই। শুক্রবার এ কথা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DGCI) প্রধান ভি.জি সোমানি। গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে ভারতের যে যোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টেনেছিল, সেটি ভুল বলেও দাবি জানান তিনি। পুনরায় ওই ওষুধ কোম্পানি খোলার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল।
কাফ সিরাপের নমুনা পরীরক্ষার রিপোর্টে ‘বিপজ্জনক’ কিছু মেলেনি দাবি জানিয়ে শুক্রবার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নরেশ কুমার গোয়েল বলেন, “ভারতের আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। আমি ভুল কিছু করব না।” তিনি আরও বলেন, “ওষুধ কারখানাটি পুনরায় খোলার জন্য আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো তবে জানি না কবে সেটা খোলা হবে। আমরা এখনও অপেক্ষা করছি।”
ঘটনার সূত্রপাত, চলতি বছরে গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায়। হরিয়ানার সোনিপতের ওষুধ কারখানা মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কাফ সিরাপ খেয়েই গাম্বিয়ায় ৬৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই ওই ওষুধের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। ওই কাফ সিরাপে অতিরিক্ত হারে থাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথাইলিন গ্লাইকল পাওয়া গিয়েছে, যা কিডনিতে গুরুতর আঘাত হানে বলে জানিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি সংস্থা। যদিও বিষয়টি নিয়ে সেই সময় ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বা ডিজিসিএ কোনও মন্তব্য করেনি। হু-র তরফেও সেই সময় কোন প্রতিক্রিয়াও জানানো হয়নি। তবে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ডিজিসিএ-র তরফে একটি প্যানেল কমিটি গঠন করা হয় এবং ওই কাফ সিরাপের নমুনা চণ্ডীগড়ে রিজিওনাল্ড ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে সরকার আগেই জানিয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্টে ‘ফুল মার্কস’ পেয়ে পাশ করে মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল।
গত ১৩ ডিসেম্বর ওই কাফ সিরাপের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে এবং ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (DGCI) ভিজি সোমানি বলেন, “ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা, মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালে প্রস্তুত ওই কাফ সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নির্দেশিকা মেনেই সমস্ত কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও ইথিলিন গ্লাইকোল বা ডাইথাইলিং গ্লাইকোল পাওয়া যায়নি।”