AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DGMO: সীমান্তে ঢুকতে পারে পাক সেনাও, যা হচ্ছে যুদ্ধের থেকে কম কিছু নয়, সন্ধ্যার প্রেস ব্রিফিংয়ে বড় বার্তা ভারতের DGMO

DGMO: "আমরা সমানে দেশবাসীর কাছে এটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আমরা যে স্ট্রাইক চালিয়েছি, সেটা কেন করেছি। আমাদের উপদেষ্টা যিনি রয়েছেন, তিনি যেরকম সঠিক মনে করেছেন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপে করেছেন। গত তিন চার দিন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কোনও যুদ্ধের থেকে কম নয়।"

DGMO: সীমান্তে ঢুকতে পারে পাক সেনাও, যা হচ্ছে যুদ্ধের থেকে কম কিছু নয়, সন্ধ্যার প্রেস ব্রিফিংয়ে বড় বার্তা ভারতের DGMO
ভারতের DGMO রাজীব ঘাইImage Credit: Screengrab
| Updated on: May 11, 2025 | 8:20 PM
Share

নয়া দিল্লি: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিকল্পনার মূল সামরিক লক্ষ্যই ছিল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধী এবং পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা। সাংবাদিক বৈঠক করে সেটা আরও একবার স্পষ্ট করল তিন বাহিনী। কিন্তু গত পাঁচ দিনে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কোনও যুদ্ধের থেকে কম নয়, সেটাও স্পষ্ট করলেন ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই।

সাংবাদিক বৈঠক এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর মাসুদ আজহার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল এর বদলা নেবে, যদি এরপরও কোনও জঙ্গি হানা হয়, তাহলে কি ভারতের তরফে ‘অ্যাক্ট অফ ওয়্যার’ পদক্ষেপ করা হবে?”

সে প্রশ্নের উত্তর দেন ডিজিএমও। তিনি বলেন, “আমরা সমানে দেশবাসীর কাছে এটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আমরা যে স্ট্রাইক চালিয়েছি, সেটা কেন করেছি। আমাদের উপদেষ্টা যিনি রয়েছেন, তিনি যেরকম সঠিক মনে করেছেন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপে করেছেন। গত তিন চার দিন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কোনও যুদ্ধের থেকে কম নয়।” তাঁর ব্যাখ্যা, “সাধারণ পরিস্থিতিতে দুটো রাষ্ট্রের বায়ুসেনার বিমান আকাশে ওড়ে না। আর একে অপরের ওপর স্ট্রাইকও করে না। এলওসি-তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন হচ্ছে। এলওসি-তে একটা সমঝোতা ছিল, ওটাও শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানে যে গোলাগুলি বর্ষণ চলছে, তার মধ্যে দিয়েও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে জঙ্গিকার্যকলাপে নিযুক্ত হয়। আমাদের কাছে এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেটা পাকিস্তানি সেনাও হতে পারে, যারা আমাদের পোস্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তো এই সমস্ত কার্যকলাপই তো যুদ্ধের পরিস্থিতিতেই হয়।”

তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন, “পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে, সেটা বলা মুশকিল। সেটা যদি বলা হয়, তাহলে সেটা সম্ভাব্য হবে। আর সেনার কাজ কোনও সম্ভাবনাকে ব্যক্ত করা হয়। বরং পরিস্থিতির মোকাবিলা করা, দেশে শান্তি বজায় রাখা।”

রবিবার সন্ধ্যার প্রেস ব্রিফিংয়ে তিন সেনার তরফে ছবি দেখিয়ে জানানো হয়,  পাকিস্তানের কোন জায়গায় হামলা হয়েছে, কী কী ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের, কোন কোন ছবি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোর স্ট্রাইকের আগের ও পরবর্তী পর্যায় ব্যাখ্যা করা হয়।