
নয়া দিল্লি: যাওয়ার টিকিট কেটেছেন, কিন্তু ফেরার টিকিট কাটেননি দিলীপ ঘোষ। আগে সাংসদ ছিলেন, দিল্লি যাতায়াত ছিল প্রায়ই। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ফলে বিজেপির সদর দফতর তাঁর কাছে নতুন নয়। তবে গত এক বছরে রাজ্য়ের সদর দফতরেও খুব একটা দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। সেই বিজেপি নেতাই এবার সটান চলে গেলেন দিল্লিতে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিকদের চর্চায় ফের একবার দিলীপ ঘোষের নাম। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ মনে করালেন, বিগত দিনগুলিতে তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়েছে।
সম্প্রতি ২১ জুলাই সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন দিলীপ। তবে কি দল বদলাবেন দিলীপ? এই প্রশ্নও কেউ কেউ তুলছিলেন। তবে এদিন দিলীপ বুঝিয়ে দিয়েছেন, দীর্ঘ সময় তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখার পরও তিনি দল ছেড়ে যাননি, ছাড়ার কথাও ভাবেননি। তবে, এ কথাও দিলীপ বললেন যে অনেকেই তাঁকে দল ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।
লোকসভায় আসন বদল করা হয়েছিল দিলীপের। মেদিনীপুর থেকে বর্ধমানে লড়তে পাঠানো হয়, কিন্তু সেখানে জিততে পারেননি তিনি। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই দিলীপ বলেন, “দল বলেছিল, তাই করেছিলাম। তাতে কী লাভ-ক্ষতি হয়েছে, তা দলের ভাবা উচিত।”
সম্প্রতি শমীক ভট্টাচার্যের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেও ডাক পাননি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এমন আরও অনেক ঘটনা আছে। পার্টির মিটিং-এ আমাকে চেয়ারই দেওয়া হত না। তাও আমি পার্টি ছেড়ে চলে যাইনি। অনেকে আমাকে পার্টি ছাড়ানোর চেয়েছিল। আমি ছাড়ব বলিনি। যে পার্টিকে দাঁড় করিয়েছে, সে পার্টি ছাড়বে কেন!”