Direct Benefit Transfer: ৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয়, কল্যাণমূলক প্রকল্পকে নতুন দিশা দিয়েছে DBT
Direct Benefit Transfer: ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার(DBT) চালু করে কেন্দ্র। বিভিন্ন স্কিমে দেশের সুবিধাপ্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিবিটি চালুর পর কী কী সুবিধা হয়েছে, একটি রিপোর্টে তা তুলে ধরেছে ব্লুক্র্যাফট।

নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষের জন্য ১ টাকা বরাদ্দ করা হলে, ১৫ পয়সা পৌঁছত। তাহলে বাকি ৮৫ পয়সা কোথায় যেত? সদ্য সমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে একথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারও নাম না নিয়েই তিনি বলেছিলেন, এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন যে ১ টাকা বরাদ্দ হলে ১৫ পয়সা পৌঁছত সাধারণ মানুষের কাছে। এরপরই সরাসরি সুবিধাপ্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সুবিধার কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। এবার একটি রিপোর্ট বলছে, সরাসরি সুবিধাপ্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়ায় ৩.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার(DBT) চালু করে কেন্দ্র। বিভিন্ন স্কিমে দেশের সুবিধাপ্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিবিটি চালুর পর কী কী সুবিধা হয়েছে, একটি রিপোর্টে তা তুলে ধরেছে ব্লুক্র্যাফট।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সুবিধাপ্রাপকের খতিয়া তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, যখন সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা যেত না, তখন ফান্ডের অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভূতুড়ে সুবিধাপ্রাপকের নাম সামনে এসেছে। এখন আধার লিঙ্ক হওয়ার ফলে ভূতুড়ে সুবিধাপ্রাপকের মাধ্যমে দুর্নীতিতে লাগাম টানা গিয়েছে। উপযুক্ত সুবিধাপ্রাপকরাই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
২০০৯-১০ সালে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে বাজেট ছিল ২.১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা। বাজেট বাড়লেও ভর্তুকি বরাদ্দ কমেছে। আবার এই ১৫ বছরে সুবিধাপ্রাপকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। আগে সুবিধাভোগী ছিলেন ১১ কোটি। এখন সেই সংখ্যা ১৭৬ কোটি।
রিপোর্ট বলছে, সবচেয়ে বেশি সাশ্রয় হয়েছে খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে। ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্য যে দুটি বড় কল্যাণমূলক প্রকল্প টাকা সাশ্রয় হয়েছে, সেগুলি হল একশো দিনের কাজ এবং পিএম কিষাণ। একশো দিনের কাজে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক সঠিক সময়ে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। পিএম কিষাণ যোজনায় সরাসরি সুবিধাপ্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছনোয় ২২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

