AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kumbh Mela: সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ফেলে রেখে কঠোর তপস্যা… আর কী কী ত্যাগ করতে হয় নাগা সন্ন্যাসীদের?

Naga Sanyasi: গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমস্থল, মহাকুম্ভে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর পুণ্যস্নান, সাধু-সন্তদের ভিড়! তবে সেই ভিড়ের মধ্যে নজর কেড়েছেন বেশ কয়েকজন স্বাধী। তাঁদের নিয়ে তোলপাড় প্রয়াগরাজ।

Kumbh Mela: সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ফেলে রেখে কঠোর তপস্যা... আর কী কী ত্যাগ করতে হয় নাগা সন্ন্যাসীদের?
কী সেই নিয়ম? Image Credit: Getty Images
| Updated on: Jan 18, 2025 | 12:41 PM
Share

বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার সইফ আলি খানের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের খবর, গুড়াপে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে মৃত্যুদণ্ড। মানে হাজার খবরের ভিড়। এর মধ্যেও বারবার নজর চলে যায় এই মেলার দিকে। মেলা বললে ভুল হবে, মহামিলনস্থল! ফুটবল বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের মতো ইভেন্টকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে এবারের মহাকুম্ভ! যেখানে প্রচুর রং, বহু অজানা তথ্য। কুম্ভমেলার আকর্ষণ অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই কারণেই বারবার কুম্ভমেলায় ছুটে যান অনেকেই। নাগা সন্ন্যাসীরা আর এক আকর্ষণ এই মেলার। যাঁদের নিয়ে অনেক অন্যরকম তথ্য আছে। সেকথা অনেকে জানেন, আবার অনেকে জানেনও-না। নাগা-সন্ন্যাসী বলতে আমরা যাদের দেখি, সেটাই সব নয়। তাঁরা কয়েকশো বছর ধরে আমাদের আশেপাশেই রয়েছেন। কারা এরা, নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার নিয়মগুলো জানেন? এমন অনেকেই আছেন যারা সুখ স্বাচ্ছ্যন্দ ছেড়ে সন্ন্যাসী হওয়ার জীবন বেছে নেন। কেন? এবারের মহাকুম্ভে আর কী কী পেলাম আমরা? 

গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমস্থল, মহাকুম্ভে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর পুণ্যস্নান, সাধু-সন্তদের ভিড়! তবে সেই ভিড়ের মধ্যে নজর কেড়েছেন বেশ কয়েকজন সাধ্বী। তাঁদের নিয়ে তোলপাড় প্রয়াগরাজ। চর্চায় যাঁর নাম সবার আগে তিনি। চঞ্চলনাথ আঘোরি! তিনি নাকি দেশলাই ছাড়াই তিনি নাকি আগুন জ্বালাতে পারেন! জন্ম বাংলায়, ৭ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন। এখন থাকেন হরিয়ানার কার্নালে কালী মন্দিরে। ৭ ফুটের জটাধারী এবার মহাকুম্ভের আলো কেড়েছেন। 

চঞ্চলনাথ আঘোরির পর যাঁর নাম মুখে মুখে ফিরছে তিনি হলেন হর্ষা রিচারিয়া। প্রাক্তন ইনফ্লুন্সেয়ার, এখন সাধ্বী। তিনি সন্ন্যাসিনীর জীবন গ্রহণ করেছেন কি না তা নিয়ে তর্ক চলবে, তবে সে সব সরিয়ে হর্ষার সৌন্দর্যে মজেছেন অনেকেই। তাঁকে নিয়ে তুমুল কৌতুহল নেটিজেনদের মধ্যে। হর্ষার বাড়ি উত্তরখণ্ডে। একসময় সঞ্চালিকা হিসাবে কাজ করেছেন। পরিচয় দিতেন অ্যাঙ্কর হর্ষা নামে। তাঁকে সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত সঞ্চালনার ছবি-ভিডিয়োও পোস্ট করতে দেখা যেত। 

যদিও এই হর্ষাকে আগে যে সব পোশাকে দেখা যেত,  এখন সেসব থেকে অনেক দূরে। একদম অন্য রূপে মহাকুম্ভে ধরা দিয়েছেন তিনি। সাধ্বীর এখন কপালে তিলক এবং গলায় ফুলের মালা। এমনই সাজে রথে চড়ে মহাকুম্ভে পৌঁছন তিনি।

আরও এক সাধ্বী মহাকুম্ভের আলো কেড়েছেন। তিনি হলেন হেমলতা আঘোরী। ১৫ বছর বয়সে গৃহত্যাগ, আর তারপর আধ্যাত্মিক জগতে। চব্বিশ ঘণ্টা নাকি শিবসেবায় ব্যস্ত থাকেন। পাশাপাশি গোসাবায় দিন কেটে যায় এই সাধ্বীর। আরও একজনের নামও চলে এসেছে এই তালিকায়। তিনি হলেন আদতে রাশিয়ার বাসিন্দা। নাম তার ধনেশ্বরী। 

সাদামাটা এক মালা বিক্রেতাকে নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখ লাখ ভিউ আর লাইক পেয়েছেন মালা বিক্রেতা মোনালিসা। তাঁর চোখ আর হাসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। এই সাধ্বীদের নিয়ে যেমন আলোচনা, তেমন কিন্নরীদের কথাও বলতে হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মহাকুম্ভে নিজেদের আখড়া প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন কিন্নরীরা। শুধু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে কিন্নরীরা এসে এই কিন্নরী আখারার সদস্য হয়েছেন। চর্চায় রইলেন তাঁরাও।