নয়া দিল্লি: করোনা (COVID) বারবার রূপ বদলাচ্ছে। আর যতবার করোনা রূপ বদলাচ্ছে, ঠিক ততবারই নতুন করে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সারা বিশ্ববাসীকে। দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে শোচনীয় অবস্থা মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে। করোনা সংক্রমণের জেরে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে একাধিক রাজ্যের হাসপাতালে বেড নেই। অক্সিজেন পরিষেবা মিলছে না সরকারি-বেসরকারি একাধিক হাসপাতালে। ভেন্টিলেটরযুক্ত বেডের আকাল একাধিক রাজ্যে। দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই বাড়তি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী করছেন ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’কে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০ রাজ্যে কামড় বসিয়েছে এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন।’ সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। সূত্রের খবর, এই ভয়ানক স্ট্রেনের জন্যই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় এত বাড়বাড়ন্ত। তবে শুধুমাত্র ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ জন্যই যে রাজ্যের এহেন ভয়ানক পরিস্থিতি, সে কথাও মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।
‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ হল দুটি স্ট্রেনের মিশ্রণ। ই৪৮৪কিউ (E484Q) ও এল ৪২৪আর (L424R) এই দুই স্ট্রেন মিলে তৃতীয় স্ট্রেন তৈরি হয়েছে। যা আগের থেকে বেশি ক্ষতিকারক। এই নতুন স্ট্রেনের ফলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি আগেই জানিয়েছে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, সেখানে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ প্রায় ৬১ শতাংশ। পঞ্জাবে ৬৯ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ব্রিটেনের স্ট্রেন। দিল্লিতেও হানা দিয়েছে এই বিলিতি স্ট্রেন। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেন তো দেশে ছিলই, পাশাপাশি এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ বাড়বাড়ন্তের ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল।
আরও পড়ুন: প্রথম ডোজ়ে কোভ্যাকসিন, দ্বিতীয় ডোজ় কোভিশিল্ডের! টিকা বিভ্রাটে ফের কাঠগড়ায় যোগীরাজ্য