সোজাপথে নয়, ১১টি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে তোলাবাজির টাকা জমা পড়ত প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংস্থায়!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jun 27, 2021 | 2:10 PM

Anil Deshmukh Money Laundering Case: শুনানি চলাকালীন ইডি আদালতে জানায়, অনিল দেশমুখের ট্রাস্টে হাত বদল করে টাকা পৌঁছে দিতেন অভিযুক্ত দুইজন। এই বিষয়ে বার মালিক ও ম্যানেজাররাও তাদের বয়ানে জানিয়েছেন যে অম্বানীকাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজ়েই বার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

সোজাপথে নয়, ১১টি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে তোলাবাজির টাকা জমা পড়ত প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংস্থায়!
অনিল দেশমুখের ব্যক্তিগত সচিব কুন্দন শিন্ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। ছবি:PTI

Follow Us

মুম্বই: বার মালিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিজের সংস্থাতেই জমা করতেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh)। তবে সরাসরি নয়, বিভিন্ন ভুয়ো কম্পানির মাধ্যমে তিনি সেই মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিতেন। শনিবার আদালতে এমনটাই জানাল ইডি (ED)।

তোলাবাজি ও আর্থিক তছরূপকাণ্ডে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চলতি সপ্তাহেই শুক্রবার অনিল দেশমুখের নাগপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি (ED)। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ও সহকারী সঞ্জীব পালান্দে ও কুন্দন শিন্ডের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে। তবে ইডি দফতরে হাজিরা না দিয়ে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেন তিনি। মঙ্গলবারের মধ্যেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার সঞ্জীব পালান্দে ও কুন্দন শিন্ডেকে আদালতের তরফে আগামী ১ জুলাই অবধি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনানি চলাকালীন ইডি আদালতে জানায়, অনিল দেশমুখের ট্রাস্টে হাত বদল করে টাকা পৌঁছে দিতেন অভিযুক্ত দুইজন। এই বিষয়ে বার মালিক ও ম্যানেজাররাও তাদের বয়ানে জানিয়েছেন যে অম্বানীকাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজ়েই বার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। মুম্বইয়ের বিভিন্ন অর্কেস্ট্রা বার থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি মোট ৪.৭০ কোটি টাকা আদায় করেছিলেন। তাঁকে টাকা আদায়ের যাবতীয় নির্দেশ সরাসরি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখই নির্দেশ দিতেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেই রেস্তরাঁ ও বার মালিকদের নামের তালিকা জমা দেওয়া হত।

সচিন ভাজ়েও নিজের বয়ানে জানিয়েছেন যে প্রতিটি বার ও রেস্তরাঁ থেকে প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা করে আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নাগপুরে অনিল দেশমুখের শ্রী সাঁই শিক্ষণ সংস্থা (Shri Sai Shikshan Sanstha) নামে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টে আদায় করা সেই টাকা জমা পড়ত। জানা গিয়েছে, ওই সংস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ ও পলিটেকনিক কলেজ চালাত। তবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখে হিসাব বহির্ভূত ৪ কোটি টাকার হদিশ মেলে। তদন্তে জানা গিয়েছে মোট ১১টি সংস্থাকে সরাসরি পরিচালন করত অনিল দেশমুখের পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ মিলেছে আরও ১৩টি সংস্থার, যেখানে আর্থিক লেনদেনের হিসাবে গরমিল পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Mann Ki Baat: ‘গবেষকদের উপর আস্থা রাখুন’, ভ্যাকসিন ভীতি দূর করার ডাক প্রধানমন্ত্রীর

Next Article