কলকাতা ও নয়া দিল্লি : কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা একটি এফআইআর-এ “আদালতের নির্দেশ জাল” করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। গণেশ বাগাড়িয়ার অডিও লিক ঘটনায় যে মামলা করেছিল কলকাতা পুলিশ, সেই মামলাতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জয়েন্ট ডিরেক্টর কপিল রাজকে ভয়েস স্য়াম্পেল দেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। সেই অর্ডারটিই জাল বলে এইআইআরে দাবি করেছে ইডি। অর্ডারে বলা নেই, সহমতি নিতে হবে। এক কথায় অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ ইচ্ছে করে ইডি অফিসারকে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ইডির তরফে প্রথমে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়, পরে ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই ঘটনায় এফআইআর নথিভুক্ত করে। যদিও দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কোনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য ওই অডিয়ো ক্লিপটিতে অভিষেকের নাম উঠে এসেছিল। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সেই সময় তখন বলেছিলেন, তাঁকে বদনাম করা হচ্ছে। সেই সময় ওই অডিয়ো ক্লিপটি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি কলকাতার এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওঠে। সমস্যার সূত্রপাত, যখন আদালত বিতর্কিত ওই অডিয়ো ক্লিপে ইডি অফিসারদের ভয়েস স্যাম্পেল চেয়ে পাঠায়। আদালতের ওই নির্দেশ কলকাতা পুলিশ ইডির কাছে পাঠায়। তবে তাতে কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন করে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, আদালত থেকে ভয়েস স্যাম্পেলের নমুনা চেয়ে পাঠালেও সেক্ষেত্রে সম্মতি বা সহমতির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করেছিল। কিন্তু ইডির কাছে পাঠানো অর্ডারে সহমতির কথাটি বলা নেই, এমনই অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এদি কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড শাখার সাবইন্সপেক্টর সুরজিৎ বণিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ কলকাতা পুলিশের কর্তাদের। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন কেটে দেন। মেসেজ দেখলেও তিনি উত্তর করেননি। গোয়েন্দা প্রধানের থেকেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : Kunal attacks Shuvendu:’বাবার ছায়া-দিদির দয়াতেই জীবন চলেছে’, ফের কুণালের তোপের মুখে শুভেন্দু
আরও পড়ুন : Weather Update: আন্দামান সাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, তবে কি ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুুটি?