Weather Update: আন্দামান সাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, তবে কি ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুুটি?
Depression in Andaman Sea: আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ৪ মে নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে এবং তারপর সেটি ৫ মে আরও শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে।
কলকাতা : রাজ্যে বর্তমানে আবহাওয়ার এক অদ্ভুত খামখেয়ালিপনা। এপ্রিল মাস প্রায় শেষ হতে চলল, অথচ কলকাতা এবং শহরতলির এলাকাগুলিতে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও দেখা নেই। বেপাত্তা কালবৈশাখীও। এরই মধ্যে আবার গভীর নিম্নচাপের ইঙ্গিত দিয়েছে মৌসম ভবন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই একটি নিম্নচাপের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আন্দামান সাগরের উপর ওই নিম্নচাপটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তি বাড়িয়ে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে রাজ্যে আবারও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ৫ মে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে আন্দামান সাগরে।
উল্লেখ্য, বাংলার ঝড়-ঝঞ্ঝার অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে এপ্রিল এবং মে… এই দুই মাস অর্থাৎ বর্ষার ঠিক আগের সময়, এটিকেই বাংলার ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম ধরে নেওয়া হয়। বিগত দিনে যে ঘূর্ণিঝড়গুলি রাজ্য ব্যাপক আকার নিয়েছিল, সেগুলি সবই এই সময়েই এসেছে। যেমন, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আয়লা আছড়ে পড়েছিল বাংলায়। ২০২০ সালের ২০ মে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। ওড়িশা উপকূলে ২০২১ সালের ২৬ মে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এবারও মার্চ মাস থেকেই বঙ্গোপসাগর বেশ সক্রিয়। ইতিমধ্যেই সমুদ্রে দুটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে, আর এক ধাপ এগোলেই সেগুলি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ৪ মে নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে এবং তারপর সেটি ৫ মে আরও শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে এটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। আর এই মে মাসে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার একটি অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। ফলে এটিও শক্তি বাড়াতে বাড়াতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার একটি সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য আন্দামান সাগর থেকে পূর্ব উপকূলের দূরত্ব অনেকটাই। সেক্ষেত্রে যদি এটি পূর্ব উপকূলের দিকে আসে, তাহলে অনেকটা সময় পেয়ে যাবে নিজের শক্তি বাড়ানোর জন্য। শুধু তাই নয়, যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, সেটিই নিজের শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে নিতে পারে এই পথে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় যদি সৃষ্টি হয়, তবে তা কোনদিকে যাবে , তা এখনও স্পষ্ট নয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কোনও কোনও মডেলে দেখাচ্ছে এটি যেতে পারে মায়ানমারের দিকে, আবার কোনও কোনও মডেলে দেখাচ্ছে এটি পূর্ব উপকূলের দিকে সরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে চেন্নাই উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূল পর্যন্ত যে কোনও জায়গায় আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে নিম্নচাপটি আদৌ শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, বা তৈরি হলে তা পূর্ব উপকূলের দিকে আসবে কি না, তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন : Firhad Hakim: ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’, বিজেপি বিধায়ককে খোঁচা ফিরহাদের
আরও পড়ুন : Anubrata Mondal: লালবাতি গাড়িতে কেন চড়েন অনুব্রত? হাইকোর্টে মামলা ঠোকায় ফাঁপড়ে ‘কেষ্ট’