Anubrata Mondal: কেষ্টর ‘কর্ম’ জানতে শুধু কন্যাকেই নয়, দিল্লিতে ইডি দফতরে তলব একাধিক ঘনিষ্ঠকেও
ED: এদিন ইডি দফতর থেকে সুকন্যা মণ্ডল বের হন বিকেল সওয়া পাঁচটা নাগাদ। মুখে শুধু মাস্কই নয়, কুলুপও আঁটা ছিল। ইডি দফতরের মূল গেটের একেবারে সামনে রাখা ছিল গাড়ি।
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১৫ নাগাদ দুধ সাদা এসইউভি চড়ে ইডি দফতরে হাজির হলেন সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে তিনি। এরপর একে একে আসেন আসে মণীশ কোঠারি ও রাজীব ভট্টাচার্য। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। প্রথমজন অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট। দ্বিতীয়জনের পরিচয় ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ী যিনি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এদিন পৃথক পৃথকভাবে তিনজনের জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
তিনজনের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। সূত্রের খবর, রাজীবের কাছে ইডি জানতে চায়, তিনি মণীশকে চেনেন কি না। সূত্রের দাবি, রাজীব জানান অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে তিনি চেনেন। অন্যদিকে মণীশকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে চান, অনুব্রতর সঙ্গে তিনি কবে থেকে যুক্ত? সূত্রের খবর, ইডির প্রশ্নে মণীশ জানান, ২০১৮ সাল থেকে তাঁর অনব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ। সূত্রের দাবি, এই জবাব বেশ অনেক্ষণ ইডি কর্তারা মানতে চাননি।
অন্যদিকে সূত্রের দাবি, সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে এদিন তদন্তকারীরা বিশেষ জোর দেন তাঁর সংস্থার উপর। যে সংস্থায় ডিরেক্টর পদে সুকন্যার নাম রয়েছে সেই সংস্থা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন এদিন সুকন্যাকে করা হয় বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সেহেগাল হোসেনের বয়ানের উপর নির্ভর করে বৃহস্পতিবার বেশ কিছু প্রশ্ন সুকন্যার জন্য ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এদিন ইডি দফতর থেকে সুকন্যা মণ্ডল বের হন বিকেল সওয়া পাঁচটা নাগাদ। মুখে শুধু মাস্কই নয়, কুলুপও আঁটা ছিল। ইডি দফতরের মূল গেটের একেবারে সামনে রাখা ছিল গাড়ি। বেরিয়েই সোজা উঠে পড়েন সেখানেই। বরং মণীশকে এদিন হাসিমুখে বের হতে দেখা যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বের হন তিনি। অন্যদিকে রাজীব ভট্টাচার্য বের হন সন্ধ্যা ৭টা ২০ নাগাদ।
এরপরই জানা যায়, ফের শুক্রবার ডাকা হয়েছে সুকন্যা মণ্ডল ও মণীশ কোঠারিকে। সূত্রের খবর, রাজীবকেও ফের এদিন ডাকার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। এদিনই আবার সেহগাল হোসেনকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে দুপুরের পর। প্রথম ধাপে মণীশের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনাও রয়েছে। মনে করা হচ্ছে শুক্রবার ফের সেহগাল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি।