AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election Commission of India: দেশের ভোটের হার বাড়ার রহস্য সুপ্রিম কোর্টে উদঘাটন করল নির্বাচন কমিশন

Supreme Court: নির্বাচন কমিশনের তরফে হাজির আইনজীবী মনিন্দর সিং ও আইনজীবী অমিত শর্মা আরও জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশনের তরফে ২ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাপ্ত ভোটের তথ্য জানায়। নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই এই উদ্যোগ।

Election Commission of India: দেশের ভোটের হার বাড়ার রহস্য সুপ্রিম কোর্টে উদঘাটন করল নির্বাচন কমিশন
সুপ্রিম কোর্ট।Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2024 | 11:26 AM

নয়া দিল্লি: ভোটের হার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটার টার্ন আউট অর্থাৎ কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য নির্বাচনে প্রার্থী বা তার এজেন্টকে ছাড়া অন্য কাউকে জানানোর কোনও আইনি নির্দেশ নেই। কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, সেই সংখ্যা প্রকাশ করারও কোনও আইনি সংস্থা নেই। সুপ্রিম কোর্টে এ কথা স্পষ্ট জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র কত ভোট পড়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত ফর্ম 17C ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্ম বা এডিআর (ADR)। এই মামলায় গত ১৭ মে কমিশনকে নোটিস ইস্যু করে শীর্ষ আদালত। জানতে চাওয়া হয়, কেন নির্বাচন কমিশন ভোটার টার্নআউট বা কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য জানাতে পারছে না।

বুধবার কমিশনের তরফে ২২৫ পাতার হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের পর শুধুমাত্র প্রার্থী এবং তার এজেন্টকেই কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য সম্বলিত ফর্ম 17C দেওয়ার আইনি বিধান রয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নির্বাচনের মাঝে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় ভোটার টার্ন আউট বা ভোটের সংখ্যা অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানায়।

নির্বাচন কমিশনের তরফে হাজির আইনজীবী মনিন্দর সিং ও আইনজীবী অমিত শর্মা আরও জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশনের তরফে ২ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাপ্ত ভোটের তথ্য জানায়। নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই এই উদ্যোগ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব সমীক্ষা ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বা হার প্রকাশ করছে, যা অনেক সময় কমিশনের দেখানো সংখ্যার তুলনায় বেশি হয়।

গণনার আগে ফর্ম 17C প্রকাশ্যে চলে এলে অনেক তথ্য বিকৃত হওয়া এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলেই হলফনামায় জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত, এডিআর নামক এই এনজিও-র তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বলা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন ভোটার টার্ন আউটের তথ্য সঠিকভাবে জানাচ্ছে না। প্রাথমিক সংখ্যার সঙ্গে পরে ভোটের হারে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। আদৌ ভোটের সঠিক তথ্য প্রকাশ হচ্ছে কি না, এবং ইভিএম বদলে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই সংস্থা।

বুধবার নির্বাচন কমিশন হলফনামা দিতেই, এই অবস্থানের তীব্র বিরোধীতা করছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, “যদি কত ভোট গণনা হয়েছে সেই তথ্য আপলোড করা যায়, তাহলে কত ভোট পড়েছে তা কেন আপলোড করা যাবে না?”