সেনাদের ব্যবহার করা কার্তুজ মিলল লালকেল্লার বিস্ফোরণস্থল থেকে, কোথা থেকে এল? ধন্দে গোয়েন্দারা
Delhi Blast Update: ঘটনাস্থল থেকে মোট তিনটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে দুটি তাজা কার্তুজ এবং একটি ফাঁকা শেল। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও পিস্তল বা অন্য কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এতেই আরও ধাঁধা তৈরি হচ্ছে তদন্তকারীদের জন্য।

নয়া দিল্লি: লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল ৯ এমএম ক্যালিবারের কার্তুজ। এই কার্তুজ সাধারণ মানুষের কাছে থাকে না। মূলত সেনাবাহিনী বা বিশেষ অথারাইজেশন যাদের কাছে থাকে, তারাই এই ধরনের কার্তুজ ব্যবহার করতে পারে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে মোট তিনটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে দুটি তাজা কার্তুজ এবং একটি ফাঁকা শেল। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও পিস্তল বা অন্য কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এতেই আরও ধাঁধা তৈরি হচ্ছে তদন্তকারীদের জন্য।
ফরেন্সিক এক্সপার্টরাও এই কার্তুজ পরীক্ষা করছেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে বিস্ফোরণের সময়ই কি এই কার্তুজ ছিল নাকি পরে এনে রাখা হয়েছিল তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে।
বর্তমানে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও এনআইএ তদন্ত আরও জোরদার করেছে। বিশেষ করে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৫ জন চিকিৎসক র্যাডারে রয়েছেন। তাদের সকলেরই ফোন অফ বিস্ফোরণের পর থেকে। আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দিল্লির ওখলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অফিস আছে, সেখানেও ক্রাইম ব্রাঞ্চ গিয়ে নোটিস দিয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে একাধিক নথি চেয়েছে।
বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হাওয়ালা রুটে উমর ২২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। বাকিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
