COVID-19 New Variant: টানা জ্বর, সর্দি-কাশিতে নাক বন্ধ? করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হননি তো?
COVID-19 JN.1 Variant: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথনও সর্দি-কাশি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অতি সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশিই আসলে করোনা হতে পারে। শুধু গুরুতর অসুস্থতাই নয়,দীর্ঘদিন করোনা সংক্রমণ থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকী, মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
নয়া দিল্লি: বছর শেষে আবার ফিরছে করোনা আতঙ্ক। হঠাৎ করেই খোঁজ মিলছে করোনা সংক্রমণের (COVID-19)। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। নেপথ্যে করোনার আরও এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট (COVID-19 New Variant)। বিগত দেড় বছর ধরে ভারতে করোনার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) ঢেউ চলেছে। এবার সেই ওমিক্রনেরই সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ (JN.1) সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত হারে। হঠাৎ করোনা সংক্রমণের এই বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকাও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বিগ্ন করোনার JN.1 ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে। তারা কী বলছেন জানেন?
একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ন্য়াশনাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড টাস্ক ফোর্সের কো-চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব জয়দেবন জানান, মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই কেরলের কোচি অঞ্চলে ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরই করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথনও সর্দি-কাশি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অতি সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশিই আসলে করোনা হতে পারে। শুধু গুরুতর অসুস্থতাই নয়,দীর্ঘদিন করোনা সংক্রমণ থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকী, মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দুই বিশেষজ্ঞই জানিয়েছেন, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক। আক্রান্তের সংখ্যা বা হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও অবধি তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে করোনা ভ্যাকসিনেশনের জন্য। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের শুরুর সময়ের তুলনায় বর্তমানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অনেক উন্নত হলেও, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখনও অবধি করোনার JN.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ২১ জনের খোঁজ মিলেছে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত গোয়াতেই। ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে। এছাড়া কেরল ও মহারাষ্ট্র থেকেও একজন করে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
উপসর্গ-
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই উপসর্গ করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের। জ্বর, সর্দি-কাশি, গা-হাত পা ব্যাথা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গই দেখা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্য়ে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এখনও হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আপাতত বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, যদি কয়েকদিন ধরে জ্বর, কাশি, নাকে গন্ধ ও মুখে কোনও স্বাদ না পান, তবে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়া তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা বা বমি হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও সতর্ক হওয়া উচিত।