COVID-19: ‘বাড়িতেই থাকুন প্রবীণরা’, উৎসবের মরশুমে হঠাৎ সতর্কবার্তা কেন্দ্রের, কেন জানেন?

Randeep Guleria on COVID-19 Cases: করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করা উচিত, সে প্রসঙ্গে ডঃ গুলেরিয়া বলেন, "যখনই বাইরে বের হবেন, মাস্ক পরে বের হন। করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট আসবে এবং পুরনো ভ্য়ারিয়েন্টের মিউটেশন বা অভিযোজন হবে, এই বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা।"

COVID-19: 'বাড়িতেই থাকুন প্রবীণরা', উৎসবের মরশুমে হঠাৎ সতর্কবার্তা কেন্দ্রের, কেন জানেন?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 12:03 PM

নয়া দিল্লি: সামনেই উৎসবের মরশুম। বিগত দুই বছর করোনা সংক্রমণের কারণে সেরকমভাবে উদযাপন করতে পারেননি অনেকেই। এই বছর তাই উৎসব-উদযাপনের বড়সড় পরিকল্পনা রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু করোনার কাঁটা এখনও দূর হয়নি। অতি সংক্রামক ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলতেই ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার মাস্ক পরা ও অন্যান্য করোনাবিধি অনুসরণের কথা বলা হল কেন্দ্রের তরফে। দিল্লির এইমস হাসপাতালের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়াও বলেন, সকলেই যেন ফের একবার করোনাবিধি অনুসরণ করে চলেন। বয়স্ক ব্যক্তি ও যাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তারা যেন এই সময়ে বাড়িতেই থাকেন।

সম্প্রতিই ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়তেই উদ্বেগ বেড়েছে। একইসঙ্গে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহারাষ্ট্র, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতেই গত ১৮ অক্টোবর জরুরি বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অন্যান্য আধিকারিকরা। সেই  বৈঠকেই ফের একবার মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো করোনাবিধি অনুসরণ করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি গবেষক, বিজ্ঞানীদের তরফেও ফের একবার করোনা আক্রান্তের সংখ্য়ার উপরে নজরদারি ও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের হার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি সংক্রমণ মাত্রা ছাড়া গতিতে বৃদ্ধি পায়, তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোভিড-১৯ প্রোফিল্যাকটিক ডোজ় দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

দিল্লির এইমসের প্রাক্তন প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়াকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সম্প্রতি ভারতে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা মাথায় রেখে জনসাধারণের উচিত করোনাবিধি অনুসরণ করে চলা। প্রবীণ মানুষ ও যাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের এই সময়ে বাড়ি থেকে বের না হওয়াই শ্রেয়। এতে সংক্রমণ আরও দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে এবং সংক্রমণ গুরুতর আকারও ধারণ করতে পারে।”

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করা উচিত, সে প্রসঙ্গে ডঃ গুলেরিয়া বলেন, “যখনই বাইরে বের হবেন, মাস্ক পরে বের হন। করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট আসবে এবং পুরনো ভ্য়ারিয়েন্টের মিউটেশন বা অভিযোজন হবে, এই বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। উৎসবের মরশুম যেমন এগিয়ে আসছে, তেমনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। সংক্রমণের আগের দুটি ঢেউয়ের সময় সকলে করোনা টিকাপ্রাপ্ত না হলেও, বর্তমানে প্রায় সকলেই করোনা টিকা নিয়েছেন। তবে তার অর্থ এই নয় যে আমাদের কোনও সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই।”

তবে এখনও অবধি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও আইসিইউতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকায়, কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন ডঃ গুলেরিয়া। তিনি জানান, এবারের সংক্রমণে অল্প জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, গায়ে-হাতে পায়ে ব্যাথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। সাধারণত তিন-চারদিনের মধ্যেই সংক্রমণ কমে যাচ্ছে বলেই জানান তিনি।