Indore College Principal: মার্কশিট দিতে দেরি! প্রিন্সিপালের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগালেন কলেজ ছাত্র

গত কয়েক মাস ধরেই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে হেনস্থা করছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আত্মীয়দের।

Indore College Principal: মার্কশিট দিতে দেরি! প্রিন্সিপালের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগালেন কলেজ ছাত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 24, 2023 | 4:31 PM

ইন্দোর: মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের এক কলেজ প্রিন্সিপালকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ওই কলেজেরই প্রাক্তন এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। পেট্রোল ঢেলে কলেজের মহিলা প্রিন্সিপালকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইন্দোরে। দগ্ধ প্রিন্সিপালের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। যা নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। ইন্দোরের বিএম কলেজের প্রিন্সিপা ছিলেন বিমুক্তা শর্মা। ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন আশুতোষ শ্রীবাস্তব নামের ওই কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্র। এর জেরে ওই প্রিন্সিপালের দেহের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্কটজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই প্রেক্ষিতেই প্রিন্সিপালের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সময়ে ব্যবস্থা নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।

জানা গিয়েছে, মার্কশিট দিতে দেরি হওয়ায় প্রিন্সিপালকে দায়ী করেন অভিযুক্ত ছাত্র। গত কয়েক মাস ধরেই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে হেনস্থা করছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আত্মীয়দের। বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপালের ভাই অরবিন্দ তিওয়ারি বলেছেন, “আমার বোন প্রিন্সিপাল হিসাবে আশুতোষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপিও রয়েছে আমাদের কাছে। পুলিশ সময়ে ব্যবস্থা নিলে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হত না।” জানা গিয়েছে, চারটি অভিযোগের দুটি করেছিলেন প্রিন্সিপাল নিজেই। বাকি ২টি করেছিলেন প্রিন্সিপালের পরিবারের লোকেরা।

যদিও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্বীকার করেননি সেখানকার পুলিশ সুপার ভগবন্ত সিং। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে ওই পুলিশ সুপার বলেছেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর ছিল এবং ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। বাকি অভিযোগের বিষয়টি আমি জানি না। আমি সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কোনও অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা স্বীকার করেছেন। অভিযোগ সত্যি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”