নয়া দিল্লি: দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলন করছে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক রাজ্যের কৃষকরা। তাদের দাবি, প্রত্যাহার করতেই হবে কেন্দ্রের নয়া তিনি আইন। প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ও করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আন্দোলনের আঁচ প্রায় নিভে গেলেও ফের একবার নিজেদের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে হচ্ছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। এ বার তাদের পরিকল্পনা সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর।
আগামী ১৯ জুলাই থেকেই শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। আন্দোলনকারী কৃৃষকদের পরিকল্পনা, অধিবেশন চলাকালীন তারা প্রতিদিনই আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে আইনি সুরক্ষার দাবি জানিয়ে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাবে। যদিও এই বিষয়ে কৃষকদের তরফে চূড়ান্ত কোনও পরিকল্পনার কথা জানানো হয়নি।
এ দিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের অনুমতি দিয়ে এখনও মাথা চাপড়াচ্ছে দিল্লি পুলিশ। তাই কৃষকরা বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করার আগেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান পুলিশ আধিকারিকরা। সেই কারণেই আজ, রবিবার দিল্লি পুলিশের একটি পপ্রতিনিধি দল কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবে। জানা গিয়েছে, সংসদের ভবনের বদলে অন্য কোনও জায়গায় কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানোর অনুরোধ করা হবে পুলিশের তরফে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, বাদল অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিনই কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষেভ দেখাবে। প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য় তারা পুলিশ ও প্রসাসনের অনুমতি নিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি মোর্চার নেতাদের তরফে। যদিও আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখানো হবে।
সম্প্রতিই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, অধিবেশন শুরুর আগেই সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে একটি হুঁশিয়ারি পত্র পাঠানো হবে এবং তাদেরও সংসদের ভিতরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর অনুরোধ করা হবে। আরও পড়ুন: টিবিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগের কথা জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক