AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টিবিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগের কথা জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

টিবি  ও করোনা, দুটি রোগই সংক্রামক হওয়ায় ও সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করায় এদের উপসর্গও অনেকটা একই রকমের।

টিবিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগের কথা জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2021 | 7:40 AM
Share

নয়া দিল্লি: করোনা হয়েছিল? তবে সাবধান। আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে টিবি(TB)-ও। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস(Black Fungus)-র মতোই করোনা সংক্রমণ দেহে টিউবারকিউলোসিসে (Tuberculosis) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে। যদিও এখনও অবধি পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, করোনার কারণেই টিবি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

শনিবার স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের (Health Ministry) প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও প্রশাসসনের বিশেষ প্রচেষ্টাতেই ২০২০ সালে দেশে টিবিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমেছে। তবে সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, করোনা রোগীদের মধ্যে টিউবারকিউলোসিস সংক্রমণেরও দেখা মিলছে। এরফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক মহলে।

কেন্দ্রের তরফে বলা হয়,”স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সমস্ত করোনা রোগীর জন্য টিউবারকিউলোসিস স্ক্রিনিং ও সমস্ত টিবি রোগীর জন্য কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ”

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণের ফলে টিবি রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে, কারণ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতোই এই সংক্রমণও সুযোগ বুঝে দেহে আক্রমণ করে। তবে এখনও কেন্দ্রের কাছে সেই পরিমাণ তথ্য় প্রমাণ নেই, যার ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, করোনা সংক্রমণ থেকেই টিবি ছড়িয়েছে। ২০২০ সালের অগস্ট মাস থেকে যে সমস্ত করোনা রোগী ও টিবি রোগীর হদিস মিলেছিল, তাদের উপর বিশেষ নজরদারি এবং নতুন রোগীর খোঁজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে।

টিবি  ও করোনা, দুটি রোগই সংক্রামক হওয়ায় ও সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করায় এদের উপসর্গও অনেকটা এক। কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্য দেখা যায় বলে জানায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে করোনা সংক্রমণের তুলনায় টিবি দীর্ঘদিন রোগীর শরারে বাসা বেঁধে থাকতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোনও কারণে কম হলেই তা দ্বিগুণ হারে বাড়তে পারে। করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও একইভাবে রোগীর দেহে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় টিবিও থাবা বসাতে পারে।  আরও পডুন: তৃতীয় ঢেউ কি আছড়ে পড়ছে মহারাষ্ট্রে? উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার