AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে ‘প্রস্তুত’ কেন্দ্রও!

কেন্দ্র কোনওভাবেই এই তিন আইন রদে রাজি নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়।

কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে 'প্রস্তুত' কেন্দ্রও!
ফাইল ছবি।
| Updated on: Dec 07, 2020 | 10:22 AM
Share

নয়া দিল্লি: যে তিন কৃষি আইনের (Farm laws) বিরোধিতায় উত্তাল দিল্লি, তা নিয়ে কেন্দ্রের মনোভাবও বেশ সুদৃঢ়। সরকারি সূত্রে খবর, কৃষকরা যতই এই তিন আইন রদ করার পক্ষে আওয়াজ তুলুন না কেন কেন্দ্র সে পথে কোনওভাবেই হাঁটতে নারাজ। চাইলে ‘আলোচনা’ হতে পারে, বড় জোর আইনে কিছু সংশোধন। এর বাইরে খুব একটা পরিবর্তন কিছু হবে না বলেই দাবি সরকারি সূত্রের।

সোমবার দ্বাদশতম দিনে পড়ল দিল্লির কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest)। এখনও অবধি পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে কৃষক-কেন্দ্রের। একটিতেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষকরা চাইছেন, কোনও সংশোধনী চলবে না। নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে মোদী সরকারকে। কিন্তু সরকার তাতে নারাজ। দু’পক্ষই নিজেদের বক্তব্যে অনড়। ক্রমেই ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন: মেদিনীপুরে মমতা ঢুকতেই শুভেন্দুর ছবিতে ছয়লাপ

ইতিমধ্যেই রাজধানী স্তব্ধ করার ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। সরকারি সূত্রের দাবি, আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান খুঁজতে হবে। কৃষকরা যদি তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান, সেক্ষেত্রে সরকারও ‘প্রস্তুত’।

পাঁচ দফা বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কেন্দ্র মনে করছে, অধিক সন্ন্যাসীর কারণেই বারবার নষ্ট হচ্ছে গাজন। কেন্দ্র চায়, ৩৫-৪০ জন কৃষক প্রতিনিধির বদলে ছোট একটি দল আলোচনায় বসুক। এতজন এক টেবিলে আলোচনায় বসলে, নানা মুনির নানা মত হয়। তাই সমস্যা মেটানোও কঠিন হয়ে পড়ে।

১ ডিসেম্বরের বৈঠকে কেন্দ্র নাকি এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও দেয়। তবে কৃষক-প্রতিনিধিরা চান সকলের সঙ্গেই আলোচনা হোক। বক্তা সকলে না হলেও, আলোচনায় সকলেরই অংশ নেওয়ার অধিকার রাখতে হবে বলেই দাবি তুলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতাল ‘ভাড়া’ নিয়ে রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ গড়বে বেসরকারি সংস্থা

সোমবার সিংঘু বর্ডারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কৃষকদের ডাকা ভারত বনধে রবিবারই সমর্থনের কথা জানিয়েছে তাঁর আম আদমি পার্টি (আপ)। ৮ তারিখের বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীও।