Delhi-Darbhanga Express fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে তিনটি বগি, দিল্লি-দ্বারভাঙ্গা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন
উত্তর প্রদেশের ইটাওয়াতে আগুন লেগে গেল ০২৫৭০ দিল্লি-দ্বারভাঙ্গা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে। সূত্রের খবর, প্রথমে একটি বগির তলায় আগুন লেগেছিল। মুহর্তের মধ্যে সেখান থেকে পরপর তিনটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে যায়। বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন।
নয়া দিল্লি: দিল্লি থেকে দ্বারভাঙ্গা যাওয়ার পথে আগুন লেগে গেল ০২৫৭০ দিল্লি-দ্বারভাঙ্গা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে। বুধবার (১৫ নভেম্বর), উত্তর প্রদেশের ইটাওয়াতে এই ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, প্রথমে একটি বগির তলায় আগুন লেগেছিল। মুহর্তের মধ্যে সেখান থেকে পরপর তিনটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে যায়। বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের নিকটবর্তী এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ট্রেনে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে, বেশ কয়েকজন যাত্রী লাফ দিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। সূত্রের খবর, ট্রেনটিতে তার ধারণক্ষমতার থেকে অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভারতীয় রেল বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্তাও।
Flash:
Latest visuals of a fire broke out on bogies of 02570 New Delhi-Darbhanga Superfast Express train in UP’s #Etawah.
Several passengers jumped out of train as soon as it caught on fire. According to sources, there were more passengers on the train than its capacity.
Fire… pic.twitter.com/UOUVmoTSEa
— Yuvraj Singh Mann (@yuvnique) November 15, 2023
রেল কর্তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুন লাগার কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিটের ইঙ্গিত পাওযা গিয়েছে বলে জানান ইটাওয়ার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ। তিনি বলেন, “যাত্রীদের মতে, বিদ্যুতের বোর্ডে একটি স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। একটি কোচে আগুন লাগার পর, তা দ্রুত অন্য দুটি কোচে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে অনেক যাত্রীর মালপত্র পুড়ে গিয়েছে। তবে, গুরুতর জখম বা মৃত্যুর কোনও খবর নেই।”
রেলের আধিকারিকদের মতে, সরাই ভূপত স্টেশন অতিক্রম করার সময় স্টেশন মাস্টার প্রথম লক্ষ্য করেছিলেন, একটি স্লিপার কোচ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধোঁয়ার কথা ট্রেনের চালক ও গার্ডকে জানিয়ে স্টেশন মাস্টার ট্রেনটি থামান। আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন যাত্রী লাফিয়ে পড়েন ট্রেন থেকে। পরে দমকল বিভাগ এবং রেলের অগ্নিনির্বাপক শাখার কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুড়ে যাওয়া বগি তিনটি ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে, ট্রেনটি ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এক যাত্রী জানিয়েছেন, অপর এক যাত্রী ট্রেনের বিদ্যুতের বোর্ডে মোবাইলের চার্জার লাগিয়েছিলেন। তা থেকেই শর্ট সার্কিটের হয়েছিল। একটি সামান্য স্ফুলিঙ্গ থেকেই আগুন ধরে যায় বিদ্যুতের লাইনে। ট্রেনটি সেই সময় পূর্ণ গতিতে চলছিল। যাত্রীরা চেইন টানার পর ট্রেনটি থামে।