একটু হলেই মরে যেত বাচ্চাগুলো! কেঁচো-ইঁদুর না, মিড ডে মিলের খাবারে এবার যা মিলল..ঠান্ডা হয়ে যাবে হাত-পা

Mid Day Meal: মিড ডে মিল পরিবেশন করা হচ্ছিল, হঠাৎই এক কর্মীর নজরে আসে খাবারে কিছু একটা কালো রঙের দেখা যাচ্ছে। হাতা দিয়ে ঘাটাঘাটি করতেই আঁতকে ওঠেন।

একটু হলেই মরে যেত বাচ্চাগুলো! কেঁচো-ইঁদুর না, মিড ডে মিলের খাবারে এবার যা মিলল..ঠান্ডা হয়ে যাবে হাত-পা
মিড ডে মিলের খাবারে এটা কী? Image Credit source: TV9 ভারতবর্ষ
Follow Us:
| Updated on: Sep 06, 2024 | 6:25 AM

জয়পুর: স্কুল পড়ুয়াদের পৌষ্টিক আহারের জন্যই মিড ডে মিলের উদ্যোগ সরকারের। কিন্তু এই মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ ভূরি ভূরি। কখনও কেঁচো, তো কখনও সাপ-মিড ডে মিলের খাদ্যের নিম্নমান নিয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ এসে চলেছে। তবে এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মিড ডে মিলের ভিতরে এমন কিছু পাওয়া গেল, যা শিশুদের পেটে গেলে মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারত।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের চিতোরগড়ে। গিলুন্ড প্রাথমিক স্কুলে দুপুরে যখন শিশুদের মিড ডে মিল পরিবেশন করা হচ্ছিল, হঠাৎই এক কর্মীর নজরে আসে খাবারে কিছু একটা কালো রঙের দেখা যাচ্ছে। হাতা দিয়ে ঘাটাঘাটি করতেই আঁতকে ওঠেন। দেখেন, খাবারের মধ্যে মিশে আছে একটা মস্ত ব্যাঙ। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় খাবার পরিবেশন। শিশুদের খাবার খেতে বারণ করা হয়, কারণ ব্যাঙের বিষক্রিয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারত।

জানা গিয়েছে, মিড ডে মিলের দায়িত্বে ছিল অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা। শুধু ওই স্কুলটিই নয়, চিতোরগড়ের  আরও পাঁচটি স্কুলে খাবার দিত ওই সংস্থা। প্রায় ৩০০ শিশুর খাবারের দায়িত্ব ছিল। বৃহস্পতিবার একটি স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারে ব্যাঙ উদ্ধার হতেই বাকি পাঁচটি স্কুলেও খবর দেওয়া হয়। তাদেরও খাবার পরিবেশন করতে বারণ করা হয়। পড়ুয়াদের বাড়িতে খাওয়ার জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ওই ফাউন্ডেশন খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ফল পাঠায় পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্য।

এই খবরটিও পড়ুন

এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক রাজেন্দ্র শর্মা জানান, খাবারে ব্যাঙ মিলতেই আর শিশুদের খাবার দেওয়া হয়নি। যে ফাউন্ডেশন দায়িত্বে ছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। মিড ডে মিল যেখানে রান্না হয়, সেই রান্নাঘরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোথা থেকে খাবারে ব্যাঙ এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)