Minister Got Punished: কুকর্মের শাস্তি! তিন বছর জেলেই কাটাতে হবে বিধায়ককে?
Imprisonment: সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে যখন তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই সময় ২০০৯ অবধি তিনি অসঙ্গতিপূর্ণভাবে কত টাকা রোজগার করেছিলেন সেই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল।

রাঁচি: বড়সড় সমস্যার মুখোমুখি পড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী (Ex-Minister)। সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁর অপকর্মের জন্য এমন নির্দেশ দিয়েছে, আগামী কয়েকটি বছর চরম কষ্টের মধ্যে বন্দি হয়ে কাটাতে হবে। সোমবার ঝাড়খণ্ডের মন্দারের কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী বন্ধু তিরকেকে (Bandhu Tirkey) তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তিনি হিসাব বহির্ভূতভাবে প্রায় ৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা রোজগার করেছেন। ২০১০ সালে তিরকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে যখন তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই সময় ২০০৯ অবধি তিনি অসঙ্গতিপূর্ণভাবে কত টাকা রোজগার করেছিলেন সেই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মধু কোদা সরকারে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিরকে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই মামলা নিয়ে এতদিন ধরে তদন্ত চলছিল। শেষমেশ তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা প্রমাণের ভিত্তিতে তিরকেকে এই শাস্তি শুনিয়েছে আদালত। তিরকের আইনজীবী এস. আগরওয়াল জানিয়েছেন এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তারা উচ্চতর আদালতে যাবেন। আগরওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
সিআরপিসির ৩৮৯ (৩) ধারা অনুযায়ী কোনও ট্রায়াল কোর্ট কোনও বিচারধীন অপরাধীকে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার জন্য জামিন দিতে পারে। তবে শুধুমাত্র তিনি বছরের সাজা ঘোষণা হওয়ার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তিরকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল, তবে আদালতকে তারা জানিয়েছিল হিসেব বহির্ভূত আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, তাই সিবিআইয়ের তরফে মামলা বন্ধ করে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং কিছুদিন পরেই তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।





