
নয়া দিল্লি: নির্বাচন কমিশনের দফতরে বাদানুবাদে জড়ালেন দুই তৃণমূল সাংসদ। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ও কৌস্তভ বাগচীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের দফতরে এক মহিলা সাংসদ ও এক বর্ষীয়ান সাংসদ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। দলের এক মহিলা সাংসদকে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই বর্ষীয়ান সাংসদের বিরুদ্ধে। পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবিও জানান ওই মহিলা সাংসদ।
কৌস্তভ বাগচী যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যসভার এক বর্ষীয়ান সাংসদও। সেই পোস্ট নিয়েই তৃণমূলকে খোঁচা বিরোধীদের।
এপিক ইস্যুতে যেদিন ডেপুটেশন দিতে যান সাংসদরা, সে দিন বচসা বাঁধে বলে সূত্রের খবর। এমনকী একে অপরের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিচ্ছিলেন বলেও শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় মহিলা সাংসদ আর্জি জানান, যাতে কর্তব্যরত দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা ওই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। পরে সিনিয়র সাংসদরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে সেখানেই বিষয়টা শেষ হয়নি। সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও চলে বাদানুবাদ। সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনেছেন অমিত মালব্য। ওই ভিডিয়ো বা স্ক্রিনশট কীভাবে বাইরে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, “এরা রাজ্যের সাংসদ। নিজেদের মধ্যে কী করছে, বাংলার মানুষ দেখুক। হাস্যকর ব্যাপার।” তাঁর দাবি, তৃণমূলের লোকেরাই তাঁদের ওই স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বাম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওদের কালচারটাই এরকম। তৃণমূলে এটা খুব স্বাভাবিক। ওরা রাজনৈতিক কালচারটা নীচে নামিয়ে নিয়ে গিয়েছে।” বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দাবি, যে দুই সাংসদের তর্কাকর্তি প্রকাশ্যে এসেছে, তারা বিতর্কিত, সংসদেও বারবার সাবধান করা হয়েছে তাঁদের।