AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pahalgam terror attack: আরও কোণঠাসা পাকিস্তান, পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা জি-৭ দেশগুলির

Pahalgam terror attack: ভারত প্রথম থেকে বলে আসছে, প্রথম হামলা শুরু করেছে পাকিস্তানই। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। বেছে বেছে পরিচয় জেনে হামলা চালানো হয়। জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) হামলার দায় স্বীকার করে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন হল টিআরএফ। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।

Pahalgam terror attack: আরও কোণঠাসা পাকিস্তান, পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা জি-৭ দেশগুলির
বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের বাড়িঘর Image Credit: ANI
| Updated on: May 10, 2025 | 10:19 AM
Share

নয়াদিল্লি: বিশ্বে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সীমান্তে পাকিস্তান সেনা গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এরই মধ্যে জি-৭ এর সদস্য দেশগুলি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনেরও আবেদন জানাল তারা।

জি-৭ এর সদস্য দেশগুলি এক বিবৃতিতে শনিবার বলে, “আমরা, জি-৭ এর সদস্য দেশ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদস্থ প্রতিনিধি, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করছি। একইসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আর্জি জানাচ্ছি।”

ভারত প্রথম থেকে বলে আসছে, প্রথম হামলা শুরু করেছে পাকিস্তানই। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। বেছে বেছে পরিচয় জেনে হামলা চালানো হয়। জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) হামলার দায় স্বীকার করে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন হল টিআরএফ। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।

গত ৭ মে ওই জঙ্গি হামলারই জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ শুধু জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছে। পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়। পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকের উপরও হামলা চালানো হয়নি।

অথচ ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান সেনা বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে চলেছে। সাধারণ মানুষ পাকিস্তানের হামলা থেকে ছাড়া পাচ্ছে না। বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তান সেনা মিসাইল ছুড়ছে। ড্রোন হামলা করছে। ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের প্রত্যেকটি হামলা প্রতিহত করেছে। বিশ্বের কাছে ভারতের স্পষ্ট বার্তা, হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারত শুধু প্রত্যাঘাত করেছে। একইসঙ্গে ভারত হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পাকিস্তান হামলা চালালে ভারত যোগ্য জবাব দেবে।

এই পরিস্থিতিতে জি-৭ এর সদস্য দেশগুলির বার্তা, “দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব পড়বে। আমরা দুই দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন।” সেজন্যই উত্তেজনা প্রশমনের আর্জি জানিয়ে তাদের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফিরে আসুক। পরিস্থিতির উপর তারা নজর রাখছে জানিয়ে জি-৭ দেশগুলি চায়, দ্রুত কূটনৈতিক সমাধান হোক ভারত-পাকিস্তানের। জি-৭ সদস্য দেশগুলির এই বার্তার আগেই অবশ্য ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত হামলা চালাচ্ছে না। শুধু প্রত্যাঘাত করেছে।