Ghaziabad: গাজিয়াবাদের ‘নির্ভয়া কাণ্ডে’ বড় মোড়, পুরোটাই সাজানো গল্প বলে দাবি পুলিশের

Ghaziabad Gang-Rape case: গাজিয়াবাদ 'গণধর্ষণ' মামলায় বড় মোড়। পুলিশের দাবি ধর্ষণ ঘটেইনি। পুরোটাই সাজানো কাহিনি!

Ghaziabad: গাজিয়াবাদের 'নির্ভয়া কাণ্ডে' বড় মোড়, পুরোটাই সাজানো গল্প বলে দাবি পুলিশের
মামলার বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন উত্তর প্রদেশের আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান প্রবীণ কুমার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 8:33 AM

নয়া দিল্লি: গাজিয়াবাদ ‘গণধর্ষণ’ মামলায় বড় মোড়। পুলিশের দাবি ধর্ষণ ঘটেইনি। পুরোটাই সাজানো কাহিনি! গত মঙ্গলবার এক ৩৬ বছর বয়সী মহিলাকে একটি পাটের ব্যাগ গায়ে জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল এবং একটি তাঁর গোপনাঙ্গে একটি লোহার রড ঢোকানো ছিল। গত বুধবার এই ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গাজিয়াবাদ পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতি মালিওয়াল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার পুলিশ দাবি করেছে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে কয়েকজন পুরুষকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা বলেছিলেন ওই মহিলা। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তর প্রদেশের আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান প্রবীণ কুমার বলেছেন, “তিনি যে দুই দিন ধরে তাঁকে পাঁচজন লোক অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন, ওই দুই দিন তিনি তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। মোবাইল সিগন্যাল ট্র্যাক করে দেখা গিয়েছে, আশ্রম রোডের কাছে যেখানে ওই মহিলাকে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে তার এক বন্ধু ফোন বন্ধ করে দিয়েছিল। অভিযোগটি ছিল পাঁচজন পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র। মহিলার বন্ধুদের মধ্যে একজন পেটিএম-এর মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে এই ধর্ষণের মামলার ব্যাপক প্রচারের জন্য অর্থ দিয়েছিল, তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

পুলিশ কর্তা আরও জানিয়েছেন, “তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যে গাড়িতে গিয়েছিলেন এবং দু’দিন তাদের সঙ্গে ছিলেন, সেই গাড়িটিও আমরা উদ্ধার করেছি। বুধবার, তাঁকে উদ্ধার করার পর প্রথমে গাজিয়াবাদের এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর মিরাটের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই জায়গাতেই তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন। পরে, তাঁর পীড়াপীড়িতেই তাঁকে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, তাঁর কোনও অভ্যন্তরীণ আঘাত নেই।”

এর আগে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, গাজিয়াবাদে তিনি তাঁর ভাইয়ের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। পরে দিল্লি যাওয়ার জন্য তাঁর ভাই তাঁকে একটি বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়েছিল। বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময়, একটি গাড়িতে করে পাঁচ ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করেছিল এবং দুদিন ধরে আটকে রেখে তাঁকে লাগাতার পালা করে ধর্ষণ করেছে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছিল।

তদন্তের মোড় ঘুরে যাওয়ার পর, ওই মহিলার বন্ধুদেরও আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তিনটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণ মামলায় এই নয়া তথ্য সামনে আসার পর, স্বাতি মালিওয়ালের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বুধবার গাজিয়াবাদ পুলিশকে পাঠানো নোটিসে স্বাতি বলেছিলেন এই ঘটনা তাঁকে নির্ভয়া কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।