Ghaziabad Fake Complain: একের পর এক পুরুষকে ‘ফাঁসাতে’ নিজেরই গোপনাঙ্গে রড ঢোকালেন মহিলা, এরপর এমন হবে কে ভেবেছিল!

Ghaziabad Police: শনিবার ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট নিপুন আগরওয়াল বলেন, "আমাদের টিম ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও পেশ করা হয়েছে তাঁকে বয়ান রেকর্ডের জন্য।"

Ghaziabad Fake Complain: একের পর এক পুরুষকে 'ফাঁসাতে' নিজেরই গোপনাঙ্গে রড ঢোকালেন মহিলা, এরপর এমন হবে কে ভেবেছিল!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2022 | 8:05 AM

গাজিয়াবাদ: থানায় গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। দাবি করেছিলেন, পাঁচ ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে দুই দিন ধরে গণধর্ষণ করেছে। অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার কিছুতেই হচ্ছিল না। পরে জেরা করতেই জানা যায়, আদচে কোনও ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই গল্প ফেঁদেছিলেন ওই মহিলা। শনিবার প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগেই ওই মহিলা ও তাঁর তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

চলতি সপ্তাহের গত মঙ্গলবার ৩৬ বছর বয়সী মহিলাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মহিলার গায়ে শুধু একটি পাটের ব্যাগ জড়ানো ছিল। হাত-পা বাঁধা ছিল তাঁর এবং গোপনাঙ্গে ঢোকানো ছিল একটি লোহার রড। বিষয়টি সামনে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লির মহিলা কমিশন। গাজিয়াবাদ পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট করা হয়। কয়েক বছর আগে দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণকান্ড যেভাবে গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, এই ঘটনার বীভৎসতার বর্ণনাও প্রায় অনেকটা একই ছিল। কিন্তু একদিন কাটতেই ঘটনায় মোড় আসে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, গোটা ঘটনাটিই সাজানো। সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই পাঁচজন ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই মহিলা। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলা আগে থেকেই গণধর্ষণের অভিযোগের গোটা গল্পটি সাজিয়েছিলেন। পরিকল্পনা মতোই মঙ্গলবার তিনি গাজিয়াবাদের একটি নির্জন এলাকায় যান। সেখানে তিনি চটের ব্যাগ গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পড়েন। তাঁর সহকারীরা হাত-পা বেঁধে দেন। গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও অভিযুক্ত মহিলারই ছিল।

শনিবার ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট নিপুন আগরওয়াল বলেন, “আমাদের টিম ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও পেশ করা হয়েছে তাঁকে বয়ান রেকর্ডের জন্য। আদালতের তরফে তাঁকে ১৪ দিনের বিচার-বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার তিন সহকারী আজাদ, আফজল ও গৌরবকে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় জালিয়াতি, প্রতারণা ও লোক ঠকিয়ে আসল তথ্য ব্যবহার করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  অভিযুক্ত মহিলা যাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন, তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।