Ghaziabad Crime: নিষ্পাপ মুখ দেখে ঢুকতে দিয়েছিলেন, ১২ বছরের কিশোরের হাতেই বীভৎস পরিণতি হল বৃদ্ধ দম্পতির

Crime News: জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ভাঙা জিনিসপত্রের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা রোজগার করেন ইব্রাহিম, এ কথা জানার পরই চুরির পরিকল্পনা করে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই চুরি করার ছক কষেছিল।

Ghaziabad Crime: নিষ্পাপ মুখ দেখে ঢুকতে দিয়েছিলেন, ১২ বছরের কিশোরের হাতেই বীভৎস পরিণতি হল বৃদ্ধ দম্পতির
ছবি সৌজন্যে: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2022 | 1:41 PM

গাজিয়াবাদ: বয়স মাত্র ১২ বছর। এই বয়সে যেখানে স্কুলে গিয়ে নতুন নতুন বিষয় শেখার কথা, সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে বসে ছক কষেছিল বড় বড় অপরাধের। এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করত তাঁর ‘গ্যাং’। বাধা পেয়ে এক বয়স্ক দম্পতিকে খুন (Murder) করতেও হাত কাঁপেনি নাবালক অভিযুক্তের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে (Ghaziabad)। শনিবার পুলিশ গাজিয়াবাদের এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে চুরি এবং বাধা দেওয়ায় ওই দম্পতিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। গোটা অপরাধের মূল চক্রী যে, তাঁর বয়স মাত্র ১২ বছর। গোটা ঘটনায় হতবাক পুলিশও।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত নভেম্বর মাসে এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে চুরি ও তাদের খুনের অভিযোগে শনিবার ১২ বছরের এক নাবালক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে।  পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ নভেম্বর বাড়ির ভিতর থেকেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ইব্রাহিম নামক এক ৬০ বছরের বৃদ্ধের। পেশায় তিনি ভাঙাচোরা জিনিসপত্রের ব্যবসায়ী। বাড়ি লাগোয়া একটি ফাঁকা জমিতে থাকা শৌচাগারের সামনে থেকে বৃদ্ধের স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই মহিলার গলায় কাপড় প্য়াচানো ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেওয়ার পরই তদন্ত শুরু করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, বড় কোনও দুষ্কৃতীদের গ্যাং এই অপরাধ ঘটিয়েছে। কিন্তু তদন্তের গভীরে গেলে জানা যায়,  কুখ্য়াত কোনও দুস্কৃতী নয়, চুরি ও খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড এক ১২ বছরের কিশোর। এরপরই শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় জানা যায়, ওই বয়স্ক দম্পতি আগে থেকেই অভিযুক্তকে চিনতেন। সেই কারণেই অভিযুক্তকে বাড়িতে ঢুকতে বাধাও দেওয়া হয়নি।
এদিকে, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ভাঙা জিনিসপত্রের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা রোজগার করেন ইব্রাহিম, এ কথা জানার পরই চুরির পরিকল্পনা করে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই চুরি করার ছক কষেছিল। তিন বন্ধুকেও জোগাড় করে অপরাধের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের জন্য। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২২ নভেম্বর তিন বন্ধুকে নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে হাজির হয়। এরপর ওই দম্পতিকে ভয় দেখিয়ে বাড়িতে লুটপাট শুরু করে। কিন্তু ওই দম্পতি বাধা দিতেই তাদের শ্বাসরোধ করে খুন করে কিশোর সহ তিনজন মিলে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মূল অভিযুক্ত ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর দুই সহকারী মঞ্জেশ ও শিবমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, তৃতীয় সহযোগী সন্দীপ ফেরার। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও সোনার চেইন উদ্ধার করেছে।