হায়দরাবাদ: করোনার উৎস চিন, এই অভিযোগে শি জিনপিংকে বারবার বিঁধেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। কিন্তু ভারতের গোল্ড মেডালিস্ট পদ্মজা নাইডুর দাবি, তিনিই করোনার উৎস। অন্ধ্র প্রদেশের পদ্মজা নাইডু (Padmaja Naidu) ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁদের দুই কন্যাকে খুন করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পদ্মজা ও তাঁর স্বামীকে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গোল্ড মেডালিস্ট বলেন, “আমি শিব। চিন নয় আমার শরীরে অংশ থেকেই করোনা এসেছে।”
পদ্মজা অঙ্কে গোল্ড মেডালিস্ট। তাঁর স্বামী পুরুষোত্তম নাইডু সরকারি কলেজে রসায়ন পড়ান। তাঁদের মেয়েদের শরীরে শয়তান ঢুকে আছে, তাই তাঁরা দুই মেয়েকে খুন করেছেন। এমনই অভিযোগ ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। পুরুষোত্তমকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমি বোকা নই, পিএইচডি করা আছে। এই কাজ করার আদেশ পেয়েছিলাম তাই করেছি।”
ঘটনার সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারে পুরুষোত্তমের এক বন্ধু মারফত। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাম্বেল দিয়ে দুই মেয়েকে আঘাত করেন ওই দম্পতি। গোটা ঘর রক্তাক্ত হয়ে যায় ২৭ ও ২৩ বছর বয়সী দুই তরুণীর রক্তে। সেই অবস্থা দেখে দিশাহীন হয়ে পড়েন পুরুষোত্তম। তখন নিজের এক বন্ধুকে ফোন করে সবটা জানান তিনি। সেই বন্ধু মারফত খবর পৌঁছয় থানায়। পুলিশ বাড়িতে এসে পুজোর ঘর থেকে লাল শাড়ি পরা এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। অন্যজনের নগ্ন দেহ উদ্ধার হয় পাশের অন্য একটি ঘর থেকে।
পুলিশ দম্পতিকে হেফাজতে নিলেও একাধিক ভিডিয়োয় অদ্ভূত কথা বলতে শোনা যায় ওই মহিলাকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহের জন্য যান, তখন ওই মহিলা বলেন, “আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি, মার্চ মাসের মধ্যেই করোনা চলে যাবে। ভ্যাকসিন লাগবে না।” তাঁর স্বামী আটকাতে গেলে পদ্মজার সাফ কথা, “আমি শিব। এখন তুমি আমার স্বামী নও।”
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে ফাটল, সরল দু’টি সংগঠন
সিসিটিভি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তাঁদের হাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে কোনও বাইরের কেউ ওই দম্পতিকে এই বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। দুই মৃত তরুণীর একজন ইঞ্জিনিয়ার। এ ছাড়াও তাঁর ফরেস্ট ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি রয়েছে। ৬ মাস প্রোজেক্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। অন্য তরুণীও স্নাতক। তিনি চেন্নাইয়ে মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।