কৃষক আন্দোলনে ফাটল, সরল দু’টি সংগঠন
রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন (AIKSCC) ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (Bhanu) নামে দুই কৃষক সংগঠন ঘোষণা করে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলন থেকে নিজেদের বিচ্যুত করছে তারা।
নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে দিল্লির বুকে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ দুই কৃষক সংগঠন। অসন্তোষ প্রকাশ করে কৃষক আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল তারা। বুধবার রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন (AIKSCC) ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (Bhanu) নামে দুই কৃষক সংগঠন ঘোষণা করে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলন থেকে নিজেদের বিচ্যুত করছে তারা।
মজদুর সংগঠনের নেতা ভিএম সিং বলেন, ‘‘আমরা এমন কারও সঙ্গে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না, যাদের উদ্দেশ্য আসলে অন্য কিছু।’’ আন্দোলনকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিএম সিং পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আর এই আন্দোলনের অংশ হবেন না তাঁরা। তিনি যোগ করেন, ‘‘ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি না পাওয়া পর্যন্ত কৃষকদের এই আন্দোলন জারি থাকবে। কিন্তু সেটা এভাবে নয়। আমরা এখানে কাউকে শহিদ করতে আসিনি, কাউকে মার খেতে দেখতেও আসিনি।’’
অন্যদিকে, রাজধানীতে মঙ্গলবারের ঘটনায় প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। দায়ের হয়েছে ২২টি এফআইআর। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমানায় আন্দোলন করছেন কয়েক হাজার কৃষক। এতদিন তাঁদের আন্দোলন মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু প্রায় দু’মাসের আন্দোলন এবং সরকার পক্ষের সঙ্গে ১১ দফা আলোচনার পর ছন্দপতন ঘটে প্রজাতন্ত্র দিবসে।
আরও পড়ুন: আলোচনার দরজা বন্ধ কখনওই বলেনি কেন্দ্র: জাভাড়েকর
ট্র্যাক্টর নিয়ে বিক্ষোভকারীদের একাংশ লালকেল্লার দিকে এগোলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় অশান্তি। এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ২০০ পুলিশকর্মী। এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ সংশ্লিষ্ট আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল দুই কৃষক সংগঠন।