নয়া দিল্লি: আলোচনার পর আলোচনাই সার। বিক্ষোভের আঁচ বাড়ছে বই কমছে না। সিংঘু কিংবা গাজীপুর সীমান্তে বিদ্রোহের পারদ এতটাই চড়েছে যে, ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সরকারকে। পাল্লা দিয়ে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরাও। বাজেট অধিবেশনের আগে কৃষি আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে তৎপর মোদী সরকারও। সুস্থভাবে বাজেট অধিবেশন চালানো লক্ষ্য সরকারের। বিরোধীদের বোঝাতে আলোচনায় বসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিরোধীদের মুখোমুখি হয়েছেন চার মন্ত্রী। রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং ভি মুরলীধরন। বাজেট অধিবেশনে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই চলছে এই বৈঠক।
আরও পড়ুন: What Bengal Thinks Today LIVE: বাংলায় বাম-কংগ্রেস ‘আত্মনির্ভর’, বললেন অধীর
শুক্রবারই শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনর আগে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য বয়কট করে ২০টি বিরোধী দল। সুতরাং, বাজেট অধিবেশনে ঠিক কী হতে পারে, তা বুঝতে বাকি নেই কেন্দ্রের। অতিমারির পর এই বাজেট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, বাদল অধিবেশনের অভিজ্ঞতাও খুব একটা ভাল নয়। কৃষি বিল ঘিরে সে বার উত্তপ্ত হয় সংসদ। কৃষি বিল ছিঁড়ে দিয়েছিল বিরোধীরা। বাজেট অধিবেশনের আগে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য বয়কট করার ঘটনাও প্রথম নয়। গতবার নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ করে একইভাবে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য বয়কট করেছিল বিরোধীরা। তবে সে বার মায়াবতীর দল (বিএসপি) বয়কটে অংশ নেয়নি। এবার অবশ্য জল মেপে সেই বহুজন সমাজবাদী পার্টিও বিরোধীদের দলে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই কেন্দ্রের অধিকার নেই কৃষকদের সঙ্গে অবিচার করার’
এরই মধ্যে কৃষি বিল নিয়ে নতুন করে মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার কৃষকদের উদ্দেশে তিনি জানান, যাতে তাঁরা এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়েন। তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন স্মৃতি ইরানি। সব মিলিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাজেট অধিবেশন চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এখন সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।