What Bengal Thinks Today: একুশের ভোটে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি: রাজনাথ সিং
একুশের ভোটেই বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে মনে করি, মত রাজনাথের
কলকাতা: সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রের নানা দিক নিয়ে আলোচনায় TV9 নেটওয়ার্ক আয়োজন করেছে বাংলার সবচেয়ে বড় কনক্লেভ। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের নিয়ে শনিবার কলকাতায় বসেছে এই আলোচনা সভা। উপস্থিত রয়েছেন TV9 গ্রুপের সিইও শ্রী বরুণ দাস।
LIVE NEWS & UPDATES
-
একুশের ভোটে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি: রাজনাথ সিং
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শাসনকালেও ভারত-আমেরিকার মৈত্রির সম্পর্ক জারি থাকবে। চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটে যাবে আশা করি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বরাবরই সম্পর্ক ভালো রাখায় বিশ্বাসী ভারত। তবে চিন যুদ্ধ ঘোষণা করলে তার কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত। চিন নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। পাকিস্তান পিছন থেকে যুদ্ধ করে। সীমান্ত কীভাবে রক্ষা করতে হয় তা ভালো জানে ভারত। জ্যোতিষী নেই যে বলব কত আসন পাব। তবে একুশের ভোটেই বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে মনে করি।
কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতির লাভ-লোকসানের যোগ থাকতে পারে না। তিন কৃষি আইনের সুবিধা নিয়ে কৃষকদের বোঝাতে হবে। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে। কাশ্মীরের এমন উন্নয়ন করা হবে যা দেখে ঈর্ষা অনুভব করবে পাকিস্তান।
-
মমতা স্ট্রিট ফাইটার, কিন্তু প্রশাসন চালাতে ব্য়র্থ: তথাগত রায়
মমতা স্ট্রিট ফাইটার, কিন্তু প্রশাসন চালাতে তিনি ব্য়র্থ। এই রাজ্যে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি নাম কুড়িয়েছেন সিঙ্গুরে শিল্প তাড়িয়ে। মমতা বেসিক্যালি স্ট্রিট ফাইটার, সভায় বিশাল লোক জমায়েত করতে পারেন। কিন্তু প্রশাসন চালাতে তিনি নড়বড়ে।
-
-
বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে দেখা যাবে মমতার আমলে ঐতিহাসিক কাজ হয়েছে: পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে দেখা যাবে মমতার আমলে ঐতিহাসিক কাজ হয়েছে। কেউ কখনও ভাবতে পেরেছিলেন সারা রাজ্যবাসী বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবিমা পাবেন? এবারের ভোটে বড় চ্যালেঞ্জ হল যারা টাকা দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, সেখান থেকে তাঁদের বের করে এনে সঠিক বার্তা দেওয়া। উন্নয়নই আমাদের প্রচারের অস্ত্র।
-
শরিকি বাড়ি ছেড়ে গেলে মন খারাপ তো করবেই: ব্রাত্য বসু
তৃণমূলের একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। এর মধ্যে অনেকেই শাসকদলের বহু পুরনো সৈনিক। ব্রাত্য বসুর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, দলের ভাঙনে মন খারাপ করে? উত্তরে ব্রাত্য বলেন, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর একটি বই আছে বারো ঘর এক উঠান। হয়তো আলাদা আলাদা বাড়ি আছে। তার আলাদা আলাদা ঘর আছে। কোনওটার নাম দমদম, কোনওটা ডোমজুড়, কোনওটা বালি, কোনওটা কাঁথি। কিন্তু উঠোন একটাই ছিল। শরিকি বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে মন খারাপ তো লাগবেই। কেন যাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। তবে এটাও সত্যি কে যাচ্ছেন সেটা বড় কথা না। আমি আছি, এটাই সত্যি।
-
সিএএ নিয়ে ‘বিতর্ক’, কী বললেন জাভড়েকর
বারবার বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বাদ রেখে সিএএ আইন আনা হয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, সিএএ পাশ হয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যারা শরণার্থী এসেছেন হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি যে সম্প্রদায়েরই হোন, যদি ভারতে থাকেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, এমনই আইন হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এখানে মুসলমানের কথা কেন বলা হচ্ছে না। এটা মুসলমানের বিষয়ই নয়। কারণ, এই তিনটি দেশ ঘোষিত মুসলিম দেশ। সেখানে তো মুসলিমদের ধর্মাবলম্বীদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার প্রশ্নই নেই।
-
-
নেতাজিকে নিয়ে কি ভোটের রাজনীতি? কী বললেন জাভড়েকর
প্রশ্ন ছিল, রাজ্য বলেছে দেশ নায়ক দিবস, কেন্দ্র বলেছে পরাক্রম দিবস। এটা কি নেতাজিকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি? রাজ্য-কেন্দ্র একসঙ্গে বসে তো একটা দিনই ঠিক করতে পারত। উত্তরে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, আমরা বৈঠক করলে বাংলার সরকারের কোনও প্রতিনিধি আসেন না। সব রাজ্যকে ডাকা হলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও প্রতিনিধি যান না। রাজ্যের মানুষকে নিয়ে বাংলার সরকারের কোনও মাথাব্যথাই নেই। ওদের শুধু রাজনীতি নিয়ে ভাবনা।
-
মানুষের কাছে বিজেপিই বিকল্প: জাভড়েকর
তৃণমূল বিষয়ই নয়। গত লোকসভা ভোটের ফলাফলে তা স্পষ্ট। আসলে এখন ভোটার বদলে গিয়েছে। এই সরকার মানুষের মন থেকে পুরোপুরি মুছে যাচ্ছে। বামেদের সরিয়ে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে যে কারণে এনেছিল তা পূরণ হয়নি। উল্টে কাটমানি, হিংসা এসবের বাড়বাড়ন্ত। মানুষ ভয় পাচ্ছেন। এ কারণেই বাংলায় পরিবর্তন দরকার। এবার তৃণমূল যাবে, বিজেপি আসবে। মানুষের কাছে বিজেপিই বিকল্প।
-
বাংলার সরকার মোদিজির কোনও প্রকল্পের সুবিধা দিতে চায় না : জাভড়েকর
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, বাংলার কৃষক আইন নিয়ে ত্রস্ত নন। গোটা দেশের ১০ কোটি কৃষক প্রতি চার মাসে সরাসরি ২ হাজার টাকা পান, অথচ বাংলার কৃষকরা তা পান না। ওনারা আবেদনও করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তো মোদিজির কোনও প্রকল্পের সুবিধা বাংলার মানুষকে পেতে দিতে চায় না। অথচ ওরা নিজেরাও কিছু করে না। এই নিয়ে বাংলার অন্নদাতারা চিন্তিত।
-
বাংলায় সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচারের রাজনীতি চলছে: অধীর
এখন বাংলায় দু’টো শক্তি যারা নিজেরা ক্ষমতা দখল করার ও ক্ষমতা দখলে রাখার লড়াই করছে। এই দু’টো শক্তি বাংলায় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান না দেখিয়ে বাংলার রাজনীতিকে দূষিত করছে। বাংলার রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িককরণ গভীরভাবে কাজ করছে। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির কাছে আজ এই সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করাই প্রথম কাজ। একইসঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের বাতাবরণ থেকেও মুক্ত করতে হবে বাংলাকে। এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।
-
অধীরের মুখে আত্মনির্ভরতার কথা
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা অন্য রাজ্যে যান বাংলায় কেন প্রচারে আসেন না। এই প্রশ্নের জবাবে অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপির নেতারা বেশি বাংলায় যান, তার মানে এই নয় যে ওরা বেশি শক্তিশালী। বাংলায় ওদের শক্তি নেই বলেই কেন্দ্রের নেতারা আসছেন। এখানে আমরা আত্মনির্ভর। বাংলায় কংগ্রেস ও বামেরা আত্মনির্ভর।
-
তৃণমূলে ভাঙন প্রসঙ্গে ফিরহাদ
এক কোটি আমাদের কর্মী আছেন। কয়েকজন দল ছেড়েছেন। আমাদের মন্ত্রিসভায় ৪০-৪২ জন মন্ত্রী। তার মধ্যে দু’জন চলে গেলে কিছু আসে যায় না। তাঁদের উপর চাপ এসেছে। চলে গিয়েছে। আমাকেও তো চাপ দিয়েছে। আমি লড়াই করেছি।
-
হিন্দু-মুসলিম ভোটার প্রসঙ্গ ও ফুয়াদ হালিম
ভোটের ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলিম ভোটার ফ্যাক্টরকে আরও সম্প্রসারিত করতে বিজেপি ও তৃণমূল এই মেরুকরণের রাজনীতি করবে। অথচ রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার কী কাজ করেছে তার কৈফিয়ৎ দিতে চাইছে না।
#WhatBengalThinksToday ‘বাংলায় বাম জমানায় একটাও বীজ বপন করতে পারেনি বিজেপি। তাই অগত্যা তৃণমূলের পুকুরে ছিপ ফেলেছেন তাঁরা’- বাম নেতা ডাক্তার ফুয়াদ হালিম #TV9Conclave | #WestBengal | #WestBengalElection2021 | #BengalElection2021 | #TMC | #BJP | #MamataBanerjee | #PMModi https://t.co/Q7IuXr1JvK
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) January 30, 2021
-
আমরা বাংলার সরকার বদল করে দেখাব-শাহনওয়াজ হুসেন
বিজেপির মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন উন্নয়নের প্রত্যাশা থেকে। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি। আমরা উন্নয়নের মাপকাঠিতেই লড়ব। কমিউনিস্ট পার্টি যে ভয়ের রেখা টেনেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
#WhatBengalThinksToday বিজেপির কাছে কী এমন ওয়াশিং পাউডার আছে , যে দাগীরাও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে? উত্তর দিলেন শাহনওয়াজ হুসেন। #TV9Conclave | #WestBengal | #WestBengalElection2021 | #BengalElection2021 | #TMC | #BJP | #MamataBanerjee | #PMModi https://t.co/7j3SQNcezu
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) January 30, 2021
-
এই ভোট তৃণমূলের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং, কী বললেন দলীয় নেতা স্নেহাশিস চক্রবর্তী
আমাদের লড়াই শুধু বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গেই নয়, এ লড়াই সমাজের প্রতিটা দুর্বলতার বিরুদ্ধেও। প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসবে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই ভাবধারায় বিশ্বাসী নই, যেন তেন প্রকারেণ ভোটে জিততে হবে। আমাদের লক্ষ্য বাংলায় ১০ কোটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা,বাসস্থান পৌঁছে দেওয়া। এই প্রথম কোনও সরকার মানুষের দুয়ারে দল পাঠিয়ে দেখে নিতে চায় তাঁরা কোন প্রকল্পের কতটা সুবিধা পেয়েছে। ভোটটা আমাদের কাছে কোনও চ্যালেঞ্জ নয়।
-
বাংলায় কী কিছুই ভাল নেই?
এই প্রশ্নের জবাবে জগদীপ ধনখড় বলেন, “যখন আমি বিশ্ব বাংলা কেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার অসামান্য পরিকাঠামো দেখেছি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বলেছি, আপনি খুব সুন্দর পরিকাঠামো তৈরি করেছেন। তবে আমি এও জানতে চেয়েছি বাংলার বিজনেস সামিটের কী হল? পিএম কিষাণের টাকা কৃষকরা কেন পাননি?”
-
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানেই অশান্তি-ধনখড়
আমার বলতে কোনও সঙ্কোচ নেই এ রাজ্যে এমার্জেন্সির মতো ভয়াবহ অবস্থা। গোটা দুনিয়ার কাছে যে বাংলা শক্তি, সেখানেই এই অবস্থা! এ পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ। এখানে সংবিধান মানা হয় না। এখানে নির্বাচন মানেই অশান্তি। একুশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে নজির তৈরি করুন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। আমিও তো প্রশাসনেরই একজন।
-
তৃণমূল নেতারা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎই করেন না: ধনখড়
রাজভবনে আমার সঙ্গে বাম ও কংগ্রেস নেতারা সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা আমার সঙ্গে দেখা করেন না। রাজভবন সকলের জন্য খোলা। আমি সকলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখি।
-
বাংলার নির্বাচন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, কী বললেন TV9 নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাস-
পাঁচ পাঁচটি রাজ্য খুব শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচন দেখবে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় না এ রাজ্যের মতো অন্য কোনও রাজ্যের নির্বাচন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ আজকে। আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে বলতে শুনেছি, যতক্ষণ না আমরা বাংলা, ওড়িষা ও কেরলে জয় পাচ্ছি ততদিন বিজেপির ‘গোল্ডেন এজ’ শুরু হবে না। ২০১৮ সালে ত্রিপুরা জয়ের পর তিনি এটা বলেছিলেন। অত বড় জয়ের মুহূর্তেও ওনার নজর কিন্তু বাংলাতে ছিল। তেমনই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, জিতব কিন্তু আমরা। অনেকগুলো দিক রয়েছে এই ভোটের। অনেকগুলি প্রেক্ষাপট। আমার মনে হয়, দিনের শেষে মানুষ উন্নয়ন চান। আমি চাই দিনের শেষে মানুষই জিতুন। এ রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার হোক। বাঙালি হিসাবে আমি এই স্বপ্নটা সবসময় দেখতে থাকব, আজ যা বাংলা ভাবে আগামিকাল তা ভারত ভাবুক।
Published On - Jan 30,2021 8:18 PM