Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সিদ্ধান্তে কেঁপে উঠল গোটা পাকিস্তান

এই এক সিদ্ধান্তে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অন্তত কয়েক গুণ মজবুত হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের বায়ু ও পদাতিক - দুই বাহিনীই এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সিদ্ধান্তে কেঁপে উঠল গোটা পাকিস্তান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2025 | 8:24 PM

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সিদ্ধান্তে কেঁপে উঠল গোটা পাকিস্তান। ঘুম ছুটেছে পাক সেনা ও আইএসআই-এর। শুধু তাই নয়, এই এক সিদ্ধান্তে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অন্তত কয়েক গুণ মজবুত হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের বায়ু ও পদাতিক – দুই বাহিনীই এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবে। কারণ, এবার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পাল্লা বেড়ে হচ্ছে ৮০০ কিলোমিটার। আগে যা ছিল ৩০০ কিলোমিটার। এরকম ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র পেতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই মিলেছে, এবার শুধু অপেক্ষা ক্যাবিনেট কমিটির চূড়ান্ত ছাড়পত্রের।

কোথায় মোতায়েন হবে নয়া ব্রহ্মস?

এখনও পর্যন্ত যা খবর, পাকিস্তানের প্রতি নজর রেখে উত্তর-পশ্চিমে থর মরুভূমিতে ও চিনের থেকে সাবধান থাকতে LOC-র উঁচু বরফে ঢাকা পার্বত্য এলাকায় মোতায়েন থাকবে নয়া ব্রহ্মস। দেশের বায়ুসেনা ও পদাতিক বাহিনী বহুদিন ধরেই আধুনিক বেশি পাল্লার ব্রহ্মস চেয়ে আসছিল। তাদের সেই দাবিই এবার মিটল। ভারত ও তার দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ব্রহ্মস মিসাইল বহুদিন ধরেই ভারতের সীমানা পাহারা দিয়ে আসছে সাফল্যের সঙ্গে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত অস্ত্রের মধ্যে ব্রহ্মস সবচেয়ে সফল ও কার্যকরী। ভারত এখন শুধু উৎপাদনই নয়, ব্রহ্মস রফতানিও করছে। ফিলিপিন্সে রফতানির পর অন্যান্য দেশও আগ্রহ দেখাচ্ছে এই মিসাইল কিনতে। উত্তরপ্রদেশের লখনউ-তে ব্রহ্মস এয়েরোস্পেসের কারখানায় তৈরি হচ্ছে ব্রহ্মস নেক্স জেনারেশনের মিসাইলও।

ব্রহ্মস আসলে টু স্টেজ মিসাইল। এতে থাকে প্রপেলান্ট ইঞ্জিন যে কারণে শব্দের চেয়েও প্রায় তিনগুণ জোরে ছোটে এই সুপারসনিক মিসাইল। শত্রুর রেডারে ধরা পড়ে না এবং দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানায় সক্ষম। যে কারণে যুদ্ধের ময়দানে এর জুড়ি মেলা ভার। এটিকে অপারেট করাও সহজ। একবার টার্গেট বেঁধে দিয়ে ফায়ার করে দিলেই চলবে। তারপর স্রেফ ‘ফায়ার এন্ড ফরগট’। মানে একবার চালিয়ে দিয়ে বাকি সব ভুলে যাও। নিজে থেকেই বেঁধে দেওয়া নিশানায় আঘাত করে শত্রুকে ছারখার করে দেবে ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই মিসাইল।