Exclusive: ‘বাংলায় জিতবে বিজেপি’, সংখ্যাতত্ত্বে না গিয়ে আত্মবিশ্বাসী রাজনাথ
বিরোধীরা অধিকাংশ সময়ই দাবি করে এসেছে যে, ভোটের সময় এলেই কেন্দ্র যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলে। সেই অভিযোগ নিয়ে এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজনাথ।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ২০০টি আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি (BJP)। সর্বভারতীয় নেতারা বারবার করে ২০০টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বঙ্গ নেতৃত্বকে। কিন্তু, এই সংখ্যক আসন পাওয়া কি আদৌ সম্ভব? শুক্রবার TV9-এর কনক্লেভে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Sing)। সেখানেই তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দাবি করলেন, আসন্ন নির্বাচনে বাংলায় সরকার গঠন করবে বিজেপি-ই। তবে কতগুলি আসনে বিজেপি জয়লাভ করবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অঙ্কের উল্লেখ করেননি রাজনাথ।
রাজনাথ সিংয়ের কথায়, “আমি কোনও জ্যোতিষী তো নই। তবে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার গঠন করবে এটুকু বলতে পারি। ২০০ হবে না ২২৫ হবে সেই নিয়ে অঙ্কের হিসেবে আমি যেকে চাই না। তবে জিতব আমরাই।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ এবং রাজ্যের নানা জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এনআইএ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই আল-কায়দা মডিউলের খোঁজ পেয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “অনুপ্রবেশ যে কোনও দিক থেকেই হতে পারে। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা। যাতে এই অনুপ্রবেশকারীরা কোনও ভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে সফল না হয়।”
যদিও ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে অনুপ্রবেশ কখনও বিরাট সমস্যার আকার নেয়নি সে কথাও ব্যক্ত করেছেন তিনি। রাজনাথ বলেছেন, “বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। আমরা যখনই কোনও কিছু জানতে পারি (অনুপ্রবেশের বিষয়ে) সেটা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নেই। প্রয়োজন হলে তদন্তও করি। সেটা করে যাব।”
আরও পড়ুন: ‘রাজীব স্পেশাল’ বিমানে চড়ে দিল্লি, একযোগে বিজেপিতে যোগ বৈশালী-প্রবীর-রথীনের
গত লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল বায়ুসেনা। যা নিয়ে তৃণমূল-সহ বাকি বিরোধীরা অধিকাংশ সময়ই দাবি করে এসেছে যে, ভোটের সময় এলেই কেন্দ্র যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলে। সেই অভিযোগ নিয়ে এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “দেশের নিরাপত্তার বিনিময়ে বিজেপি কখনই রাজনীতি করেনি। সাধারণ মানুষই এই ধরনের সংর্কীণ রাজনীতি প্রত্যাখান করবে।”
আরও পড়ুন: সাতে নাড্ডা, আটে মোদী! সর্বশক্তি প্রয়োগ করেই রাজ্যে প্রচার ঝড় তুলবে বিজেপি