টিকা ঘাটতি মেটাতে বড় পদক্ষেপ, ক্ষতিপূরণে ছাড় পেতে পারে ফাইজ়ার-মডার্না, দাবি সূত্রের

নয়া দিল্লি: চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যেই সকল দেশবাসীকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অনুমোদন প্রাপ্ত করোনা টিকাগুলির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি টিকা অনুমোদন প্রক্রিয়াতেও বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে কেন্দ্র। সূত্র অনুযায়ী, ভারতে ফাইজ়ার (Pfizer) ও মর্ডানা(Moderna)-র টিকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণে ছাড় দেওয়া হতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক সূত্র অনুযায়ী, অন্যান্য দেশের দেখাদেখিই ভারতে করোনা টিকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণে ছাড় বা সংস্থার ভ্যাকসিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইনী সুরক্ষা দেওয়ায় কোনও সমস্যা দেখছে না কেন্দ্র। সূত্রের দাবি, “যদি ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন চায়, তবে আমরা ক্ষতিপূরণে ছাড় দিতে রাজি।”

দেশের টিকা ঘাটতি মেটাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার তরফে বিদেশী সংস্থাগুলির ভ্যাকসিনের উপর আলাদাভাবে ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত তুলে নিয়েছে। ডিসিজিআই (DCGI)-র তরফে জানানো হয়েছে, যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন দেশে কোনও ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন পেয়ে থাকে, তবে ভারতে তার গুণমান ও কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই।

কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের পাশাপাশি ভারতে ইতিমধ্যেই জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি। তবে টিকা ঘাটতি পূরণে ফাইজ়ার ও মডার্না সংস্থার সঙ্গেও কথা বলেছে কেন্দ্র। ফাইজ়ার সংস্থার তরফে জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৫ কোটি করোনা টিকা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত অনুমোদনের জন্য ক্ষতিপূরণে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিল ফাইজ়ার।

আমেরিকাতেও এই আইনি সুরক্ষা পেয়েছে ফাইজ়ার। সেখানে ফাইজ়ারের করোনা টিকা নেওয়ার পরও যদি কারোর মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা পাবে প্রস্তুতকারক সংস্থা। তবে ভারতে এখনও অবধি কোনও টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকেই আইনি সুরক্ষা বা ক্ষতিপূরণে ছাড় দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘বিনামূল্যে করোনা টিকার ব্যবস্থা করুন’, বিছানা থেকেই বার্তা শশী থরুরের