নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে টিকাকরণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি ঘরে ঘরে গিয়ে টিকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এরই মধ্যে টিকার উৎপাদনও বাড়ছে ভারতে। নভেম্বরে দেশে ৩০ কোটি টিকা উৎপাদন হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর। আগামী নভেম্বরের মধ্যেই আরও ৩০ কোটি করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত।
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ৩০ কোটি ভ্যাকসিনের মধ্যে ছ কোটি কোভ্যাকসিনের ডোজ় তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, কোভিশিল্ডের ২২ কোটি ডোজ় এবং জ়াইডাস ক্যাডিলার তৈরি জ়াইকভ ডি ভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজ় উৎপাদন করা হবে। গত কয়েকদিন আগেই জ়াইকভ ডি জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার কাজ চলছে গোটা দেশে। ইতিমধ্যে ১০০ কোটি ভ্যাকসিন (100 crore vaccination) দেওয়ার মাইলফলক পার করেছে ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনেক বয়স্ক মানুষ সেই প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন। এমনটাই মনে করছেন সরকার। তাই এবার বাড়িতেই পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য এ কথা জানিয়েছেন। নভেম্বর থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ‘হর ঘর দস্তক’ (Har Ghar Dastak) নামে এই উদ্যোগ শুরু করছে কেন্দ্র।
বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর সেই বৈঠকেই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় যাতে আরও দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে প্রত্যেক বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এখনও পর্যন্ত যাঁরা ভ্যাকসিনের একটা ডোজও নেননি, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, যাদের দ্বিতীয় ডোজ় এখনও নেওয়া হয়নি তাঁদের দ্রুত তা দেওয়ার কথা বলা হয়।
দেশের ৪৮ টি জেলাকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র, যেখানে ৫০ শতাংশ মানুষও টিকা পায়নি। জানা গিয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে এমন লোকের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ় নেননি। তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই জোরদার হবে বলেই মনে করছে সরকার।
সরকারি রিপোর্ট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় ৭৭ শতাংশ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের ৩৩ শতাংশ লোকের দ্বিতীয় ডোজ় হয়েছে। আর এই অবস্থায় দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের কাজ শেষ করতে স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর এই যোজনা বাস্তবায়িত করতে রাজ্যগুলিকে পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী একমাস পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হবে।
আরও পড়ুন: Aryan Khan: আরিয়ান জামিন পেতেই বলিপাড়ায় দিওয়ালির রোশনাই, সেলেবমহলে শুভেচ্ছার ঢল