TV 9 বাংলা ডিজিটাল: এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) পুনর্বিনিয়োগ নিয়মে বড়সড় বদল আনল কেন্দ্রীয় সরকার। এখন থেকে নিলামে অংশগ্রহণকারীরা ক্ষতিতে চলা বিমানের ঋণের বোঝা ঘাড়ে নেওয়ার মাত্রা জানাতে পারবেন নিজেরাই। অংশগ্রহণকারী সংস্থা বা ব্যক্তির মূলধন ও ঋণের পরিমাণ দুই বিচার করা হবে নিলামে । অর্থাৎ নিলামে অংশগ্রহণকারীদে উপর আগে থেকে কোনও নির্দিষ্ট ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে চাইছে না সরকার।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, নিলামের সূচক বদলাচ্ছে । এবার থেকে ঋণের বোঝাও নিলাম জেতার একটি সূচক। নিলামে অংশগ্রহণ করার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ অক্টোবরের পরিবর্তে ১৪ ডিসেম্বর হয়েছে।
জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মতো ১৭ মার্চ ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু করোনা কালে তা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এসএটিএসের ৫০ শতাংশ শেয়ারও।
এয়ার ইন্ডিয়া এসএটিএস হল এয়ার ইন্ডিয়া ও ‘সিঙ্গাপুর ফুড টার্মিনাল সার্ভিসের’ যৌথ প্রকল্প। যেখানে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ছাড়াও বিভিন্ন বিমান বন্দরে যাত্রীদের খাদ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে এয়ার ইন্ডিয়া ও এসএটিস উভয়েরই ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কেন বদল আনা হচ্ছে নিয়মে? করোনার ফলে অনেক দিন বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা। ফলে লোকসানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। তাই কারোর উপর জোর করে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে চাইছে না সরকার। পুনর্বিনিয়োগ ও জনসম্পদ বিভাগের সচিব তুহিন কান্ত পান্ডের কথা অুযায়ী, এই অবস্থায় নির্দিষ্ট কোনও ঋণের বোঝা চাপিয়ে নির্দেশিকা দিলে প্রশ্ন উঠবে সেই নির্দেশিকা নিয়ে। ঋণের পরিমাণ নিলামের মধ্য দিয়েই ঠিক হবে।
আর কী পরিবর্তন হচ্ছে? ঋণ ও সময়ের পরিবর্তন ছাড়াও পরিবর্তন আসছে নিলামের টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যে সংস্থা নিলামে জিতবে তাকে মোট টাকার ১৫ শতাংশ দিতে হবে নগদে। যদিও এটি নিলামে অংশগ্রহণ করার কোনও সূচক নয়। নিলামের অঙ্কের উপর নির্ভর করবে এই টাকার পরিমাণ।