‘সমঝোতা, চুক্তি নয়’, পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করতেই এবার বড় পদক্ষেপ ভারতের?
India-Pakistan Conflict: বিকেল ৫টা থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি শুরু হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদেই সেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ঘনঘন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

নয়া দিল্লি: বিশ্বাসঘাতকতা করেছে পাকিস্তান। শনিবার দুপুরেই ভারতে ফোন এসেছিল পড়শি দেশ থেকে। পাকিস্তান থেকেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সংঘর্ষ বিরতির। ভারত তাতে রাজি হয়। বিকেল ৫টা থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি শুরু হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদেই সেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ঘনঘন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানের এই সংঘর্ষ বিরতির পর কী প্রতিক্রিয়া ভারতের?
সরকারি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের হামলার পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সংঘর্ষ বিরতি সমঝোতা হয়েছে। কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি।
অর্থাৎ এই বার্তা দিয়ে সরকার স্পষ্ট করে দিল যে পাকিস্তান আঘাত করলে, তার জবাব দেবে ভারতও। সংঘর্ষ বিরতিতে গতকাল থেকেই দুই দেশের স্থল, জল ও আকাশ পথে সামরিক অভিযান বন্ধ করার কথা ছিল। ভারত নিজের প্রতিশ্রুতি রাখলেও, পাকিস্তান ‘স্বভাবসিদ্ধ’ভাবেই পিঠে ছুরি মেরেছে। সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার ৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান হামলা শুরু করে। ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠাতে শুরু করে। মর্টার, শেলিং-ও শুরু করে। ভারত প্রতিটি আঘাতকেই রুখে দিয়েছে। ধ্বংস করেছে ড্রোন।
গতকালই সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হলেও, তা শর্তসাপেক্ষ। এই সংঘর্ষ বিরতির জন্য সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে কোনও পরিবর্তন আসবে না। অর্থাৎ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আপাতত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতই থাকবে। কূটনৈতিক স্তরে যে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিল, তা অপরিবর্তিত থাকবে। ভারত যেমন সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখবে, তেমনই পাকিস্তানের নাগরিকদের আপাতত ভারতে ভিসাও দেওয়া হবে না। বন্ধ থাকবে সীমান্ত। স্থগিত বাণিজ্যও। ভারতের বন্দর ও আকাশপথও ব্যবহার করতে পারবে না পাকিস্তান।
প্রতিবেদনটি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লেখা।





