‘কোনও সম্পত্তি বিক্রি করছে না সরকার’, কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগের বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

সোমবারই কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ 'ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন' চালু করার কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

'কোনও সম্পত্তি বিক্রি করছে না সরকার', কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগের বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 6:43 PM

নয়া দিল্লি: সরকারি প্রকল্প থেকেই আয় বাড়াতে নয়া উদ্যোগ নিল মোদী সরকার। সোমবার ৬ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ উদ্যোগ ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’ চালু করার কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবহার কম হয় এমন সরকারি সম্পত্তি থেকে টাকা তোলার ব্যবস্থা করা হবে এই উদ্যোগে। তবে অর্থমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এই উদ্যোগে কোনও সম্পত্তি বিক্রি করছে না কেন্দ্র। আপাতত চার বছরের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ দিন ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’ চালু করে সীতারামন বলেন, ‘অর্থনীতির উৎসগুলো খুলে দেওয়া হবে। তবে সরকার কোনও সম্পত্তি বিক্রি করবে না। কেবল কম ব্যবহৃত প্রকল্পগুলো থেকে আয়ের বন্দোবস্ত করা হবে।

রেল, রাস্তা, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন সেক্টরের মোট ৬ লক্ষ কোটি টাকার সরকারি সম্পদকে কাজে লাগানো হবে মনিটাইজেশনের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তবে সবকিছুরই মাললিকানা থাকবে কেন্দ্রের হাতে। এই উদ্যোগের ফলে সরকারের যে আয় হবে, তা দিয়ে ভবিষ্যতে রাস্তা সহ একাধিক নির্মাণ তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যে সব সম্পদকে এই উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা করে সরকারি তহবিল থেকে কোনও টাকা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।

এ দিন নতুন প্রকল্পের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সীতারামন বলেন, যে সব ক্ষেত্রে তাকা খরচ করেছে সরকার, কিন্তু সেগুলি পড়ে রয়েছে, সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, সেগুলিকে এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। বেসরকারি সংস্থাকে অংশগ্রহণ করিয়ে সেই সব জায়গা থেকেই টাকা তুলে আনার কথা বলেন সীতারামন। আর সেই টাকা ভবিষ্যতে কোনও প্রকল্পে খরচ করতে সুবিধা হবে সরকারের।

কি এই ‘জাতীয় মনেটাইজেশন পাইপলাইন’?

জনসাধারণের জন্য তৈরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার থেকে টাকা তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগে ইন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট তৈরি হবে। সেখানে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা বিনিয়োগ করতে পারবে। এর ফলে সাধারণের জন্য আরও প্রজেক্ট, যেমন রাস্তা, তৈরি সম্ভব হবে।

রেল ও তাদের ফ্রাইট করিডর ব্যবহার করে এবং আরও পরে বিমানবন্দর গুলি থেকে টাকা তোলা হবে। এর ফলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আর আলাদা টাকার ওপর ভরসা করতে হবে না।

কি কি থেকে মূলত এই ‘মানিটাইজেশন’ হবে?

জানা যাচ্ছে, যেখান থেকে টাকা তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে NHAI- এর টোল, রাস্তা। এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বিমানবন্দর যা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে পড়ে, GAIL -এর তেলের পাইপলাইন, কেন্দ্রীয় ভান্ডার ঘর ও খেলার স্টেডিয়াম ইত্যাদি। আরও পড়ুন: ‘পুরো তালিবান ২’, অধিকারী পুত্রের নিশানায় ফের মমতা-সরকার!