Grenade blast in Pathankot: সেনা ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের শব্দ, কেঁপে উঠল পাঠানকোট
Grenade blast in Pathankot: কারা ঘটাল এই বিস্ফোরণ, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পাঠানকোট : ফের ভারতীয় সেনা (Indian Army) ঘাঁটির একেবারে কাছেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। পঞ্জাবের পাঠানকোটে (Pathankot) আর্মি ক্যাম্পের কাছেই শোনা গিয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। ক্যাম্পের ত্রিবেনী গেটের কাছেই গ্রেনেড বিস্ফোরণ (Grenade Blast) হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাঠানকোটের এসএসপি সুরেন্দ্র লাম্বা।
এমন বিস্ফোরণের ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। চলতি বছরের জুন মাসেই জম্মুর এয়ার ফোর্স স্টেশনের কাছেই পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় দুজন আহতও হন। সেই ঘটনার সময় কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছিলেন ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের খুব কাছ থেকেই কেউ বা কারা সেই ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছিল। ঘটনাস্থলে আইইডি ফেলে ফিরে যায় সেই ড্রোন। এখানেই শেষ নয়, মাস কয়েক আগে জম্মুতে সন্দেহজনক ড্রোন ওড়ার ঘটনা চোখে পড়ে।
জম্মুর সেই ড্রোন হামলার পরই পাঠানকোটে সন্দেহজনক বেলুন উড়তে দেখেন এক নিরাপত্তাকর্মী। আর পাঠানকোট অনেক দিন ধরেই জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে। ২০১৬ সালে এই পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। ২০১৬-র জানুয়ারি মাসে সেই হামলার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। নিহত হন সেনাবাহিনীর তিন জওয়ানও। আহত হন আরও অনেকে।
সেবার সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে ছয় জঙ্গি। সেনা ঘাঁটির যে অংশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রাখা থাকে সে দিক থেকেই হামলা চালাতে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। বায়ুসেনা ঘাঁটির মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্যে ছিল। তবে সোমবারের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: ‘এভাবে কি ত্রিপুরা কাপ জেতা যাবে?’ তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন দিলীপ?