Viral: বিয়ের ১০ দিন আগে শাশুড়িকে নিয়ে ধাঁ, তিন রাজ্য ঘুরে এসে যুবক বলছে বিয়ে করব তবে…
Viral: বর্তমানে দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দুজনেই বলেছেন যে তাঁদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চায়। হবু শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া জামাই রাহুল বলেন, "আমি বিয়ে করতে প্রস্তুত। বাকিটা ওঁদের ইচ্ছা।"

মেয়ের বিয়ের ১০ দিন আগে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন হবু জামাই। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ৫ লক্ষ টাকার গয়না আর সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নগদ টাকা। তারপর থেকেই সুইচ অফ দুজনের ফোন। প্রথমে একবার জামাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হলে, তিনি বলেন, “২০ বছর ধরে অনেক জ্বালিয়েছেন ওকে (অনিতা), এবার ওর কথা ভুলে যান।” বলেই ফোন কেটে দেন তিনি। বুধবার আলিগড় থেকে পলাতক সেই শাশুড়ি-জামাই জুটিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দুজনেই বলেছেন যে তাঁদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চায়। হবু শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া জামাই রাহুল বলেন, “আমি বিয়ে করতে প্রস্তুত। বাকিটা ওঁদের ইচ্ছা।”
রাহুল বলেন, “আমার শাশুড়ির প্রতি আমার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ওঁর স্বামী ওঁকে নির্যাতন করত। মারধর করতো খারাপ ব্যবহার করতো। ওঁ স্বামীর উপর বিরক্ত ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে সমর্থন করছিল না। তারপর ওঁ আমার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। আমাকে সবকিছু বলে। ৬ এপ্রিল আমিও কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলাম, ঠিক তখনই ওঁর ফোন আসে। বলে তুমি যদি আমাকে নিতে না আসো তাহলে আমি মারা যাব। আমি গিয়েছিলাম শুধু নিশ্চিত করার জন্য যে ওঁ কোনও ভুল পদক্ষেপ না নেয়।”
রাহুল জানান, তাঁরা দুজনে কাসগঞ্জে দেখা করেন। ৭ এপ্রিল মুজাফফরপুরে পৌঁছোন। এরপর পুলিশ খুঁজছে জানতে পেরেই আত্মসমর্পণ করার কথা ভাবেন। এরপরেই তাঁরা দাদন থানায় পৌঁছোন। বিয়ের বিষয়ে রাহুল বলেন, “সবকিছুই তাঁর উপর নির্ভর করে। যদি ওঁ চায়, আমি ওঁকে বিয়ে করতে প্রস্তুত। ওঁ যা বলবে তাই হবে। একমাত্র শর্ত হলো এটি তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী হতে হবে। আমি শুধু ওঁর সঙ্গে থাকতে চাই। বয়স কোনও ব্যাপার না।”
শাশুড়ি অনীতা দেবী বলেন, “আমার স্বামী আমার জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলা পছন্দ করতেন না। একবার আমাকে বলেছিল তোমার রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া উচিত। এখন যদি স্বামীই এমন অভিযোগ করে, তাহলে স্ত্রীর কী হবে? তারপর আমি রাহুলকে এই সব কথা বললাম। রাহুল খুব ভালো। ওঁ আমার বাধ্যবাধকতা বুঝতে পেরেছিল। আমরা দুজনে সিদ্ধান্ত নিই এখন আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। বাড়ি থেকে পালানোর পর, আমরা দুজনে কাসগঞ্জে দেখা করি।”
জানা গিয়েছে, কাসগঞ্জ থেকে বাসে করে বরেলি পৌঁছোন তাঁরা। সেখান থেকে বাসে করে বিহারের মুজাফফরপুর। সেখানেই একটি হোটেলে ছিলেন। রাহুল সংসার চালানোর জন্য চাকরিও খুঁজছিল। দু’দিন আগে মোবাইল চালু করে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারে যে পুলিশ দুজনকেই খুঁজছে।
পুলিশ খুঁজলে, কোথায় পালাবেন? তখনই থানায় আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বাসে মুজাফফরপুর থেকে দিল্লি পৌঁছান। দিল্লি থেকে বাসে করে আলিগড় এসে রায়া কাটে নেমে গাড়ি ভাড়া করে থানায় পৌঁছান। অনীতা জানান তিনি রাহুলকে নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যদিও বাড়ি ছাড়ার সময় গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুজনেই। অনীতা জানান, তিনি কেবল তাঁর মোবাইল ফোন এবং ২০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। গয়না নিয়ে যাননি।
