AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধে হতে পারে কর মকুব, ফের বৈঠক জিএসটি কাউন্সিলের

গত বৈঠকে ভ্যাকসিন, ওষুধ, করোনা পরীক্ষার কিট, ভেন্টিলেটর সহ যেসমস্ত পণ্যের উপর জিএসটি মকুবের দাবি তোলা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে গত ৭ জুন কাউন্সিল একটি রিপোর্ট জমা দেয়। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়েই আলোচনা করা হবে।

করোনা ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধে হতে পারে কর মকুব, ফের বৈঠক জিএসটি কাউন্সিলের
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Jun 12, 2021 | 11:51 AM
Share

নয়া দিল্লি: করোনা ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর জিএসটি তুলে নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসছে জিএসটি কাউন্সিল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে এ দিনের বৈঠকে মূলত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যের উপর করে ছাড় দেওয়ার বিষয়েই আলোচনা করা হবে।

প্রতি ত্রৈমাসিক শেষেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে সেই বৈঠক হয়নি। দ্রুত বৈঠকের আয়োজন করার জন্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও গতমাসেই চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। এরপরই গত ২৮ মে করোনাকালে প্রথমবার বৈঠকে বসে জিএসটি কাউন্সিল।

এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রী ও শীর্ষ সরকারি আধিকারিকেরা। গত বৈঠকেই কোভিড ভ্যাকসিন, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, করোনা পরীক্ষার কিট, মেডিক্য়াল গ্রেড অক্সিজেন, স্যানিটাইজার, মাস্ক সহ একাধিক সামগ্রীর উপর ডিএসটি শুল্কে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন কিনা তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব সহ একাধিক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক ছাড়ের দাবি জানায়। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেবল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাম্ফোটেরিন-বি আমদানির উপর করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।

কোভিডের ভ্যাকসিনে বর্তমানে জিএসটি হার পাঁচ শতাংশ। মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেন্টেটর, অক্সিজেন জেনারেটর, করোনা পরীক্ষার কিট এই চারটি পণ্যে ১২ শতাংশ জিএসটি থাকলেও, তা হ্রাস করে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আগের বৈঠকেই।

গত বৈঠকে ভ্যাকসিন, ওষুধ, করোনা পরীক্ষার কিট, ভেন্টিলেটর সহ যেসমস্ত পণ্যের উপর জিএসটি মকুবের দাবি তোলা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে গত ৭ জুন কাউন্সিল একটি রিপোর্ট জমা দেয়। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়েই আলোচনা করা হবে।

আরও পড়ুন: আপনার হাতে আসা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট আসল না ভুয়ো, বুঝবেন কীভাবে?