Vandalism: বড়দিনেই চার্চে দুষ্কৃতী হামলা, ভাঙা হল যিশুর মূর্তি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 26, 2021 | 6:36 PM

Hariyana: পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা ৪০-এর মধ্যে এই তাণ্ডব চলে। প্রাথমিক তদন্তে দু'জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ।

Vandalism: বড়দিনেই চার্চে দুষ্কৃতী হামলা, ভাঙা হল যিশুর মূর্তি
ছোট্ট যিশুর পা ছুঁয়ে চুম্বন ভক্তের। গুয়াহাটির একটি চার্চে। ছবি পিটিআই।

Follow Us

আম্বালা: বড়দিনের রাতেই ভাঙা হল যিশু খ্রিস্টের মূর্তি। হরিয়ানার আম্বালা ক্যানটনমেন্টের হোলি রিদিমার চার্চে এই দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয় এই চার্চ। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর আলোকমালা আর প্রার্থনার সুরে ভরে ওঠে এই চার্চ। এবার কোভিড বিধির কারণে তাতে রাশ পরানো হয়েছিল। রাতে সেই চার্চেই ঘটে হামলার ঘটনা। ইতিমধ্যেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গিয়েছে।

আম্বালার অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ পুজা ডাবলা জানান, রবিবার ভোরের দিকে তাঁদের কাছে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসট্রিক্ট সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি), স্টেশন হাউস অফিসার (ক্যানটনমেন্ট)-এর নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা ৪০-এর মধ্যে এই তাণ্ডব চলে। প্রাথমিক তদন্তে দু’জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা চার্চের বেশ কিছু জিনিস নষ্ট করে। লাইট ভেঙে দেয়, যিশুর মূর্তিও ভেঙে ফেলে। ইতিমধ্যেই দু’জনকে ধরেছে পুলিশ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আম্বালা ক্যানটনমেন্ট থানার পুলিশ।

আম্বালার অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ পুজা ডাবলা বলেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এই চার্চের ফাদার অ্যান্টনি বলেন, গভীর রাতে দুই যুবক চার্চে ঢুকেছিল। অত রাতে চার্চের গেট বন্ধ থাকে। তাই দু’জনই দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢোকে। ঢুকেই যিশু খ্রিস্টের মূর্তির উপর হামলা চালায়।

ফাদার অ্যান্টনির কথায়, এই চার্চটি আম্বালার প্রাচীনতম চার্চ। ১৮৪৩ সালে তৈরি হয়েছিল এটি। মাঝে এতগুলো বছর কেটে গেল, এর আগে কখনও এরকম অভিজ্ঞতার মুখে তাঁদের পড়তে হয়নি। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সে সময় চার্চ বন্ধ ছিল।

কোভিড প্রোটোকলের কারণে এবার অনেক বিধিনিষেধও ছিল। সাড়ে ৯টার মধ্যে এবার ক্রিসমাসের প্রার্থনাও শেষ হয়ে যায়। ১০টার মধ্যে ভক্তরা সকলেই চার্চের বাইরে চলে যান। সাড়ে ১০টার মধ্যে চার্চের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কোভিডের কারণে গত শুক্রবার রাত থেকেই নতুন করে কড়াকড়ি চালু হয় হরিয়ানায়। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত রাত ১১ টা থেকে ভোট ৫ টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোনো যাবে না বলে জানিয়ে দেয় মনোহরলাল খট্টরের সরকার।

একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে মল, রেস্তরাঁ, ব্যাঙ্ক, সবজি মান্ডি, খাদ্য শস্যের বাজার এবং অফিসগুলিতে প্রবেশের জন্য অবশ্যই লাগবে জোড়া টিকার শংসাপত্র। একসঙ্গে ২০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে একসঙ্গে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী করোনা পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: শীঘ্রই প্রাথমিক স্কুল খোলার ইঙ্গিত, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নতিতে অর্থ বরাদ্দ করল শিক্ষা দফতর

আরও পড়ুন: আসানসোলের ‘উন্নতিতে’ সামিল হতে তৃণমূলের পতাকা ধরলেন মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক!

আরও পড়ুন: কুলতলিতে রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য! ধরি ধরি করেও বাগে আসছে না বাঘ! আচমকা হামলায় জখম ১

Next Article